সোমবার (১৮ জুন) রাত থেকে মঙ্গলবার (১৯ জুন) দুপুর পর্যন্ত মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ডিমলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের যৌতুকের কারণে লাইলি বেগম (২৭) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্বামী সফিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে লাইলি বেগমের ভাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে লাইলির স্বামী শফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
এদিকে সকালে উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের (চেয়ারম্যান পাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে জুল হোসেন পারিবারিক কলহে স্ত্রী রাশেদা বেগমকে (২৮) মারধর করলে গুরুতর আহত হন। এসময় তাকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী জুল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। নিহত রাশেদা একই উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের আহেদ আলীর মেয়ে।
অপরদিকে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী গ্রামের একটি পুকুর থেকে মজিবর রহমান (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বৃদ্ধ উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে সোমবার (১৮ জুন) উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছানতাই বালাপাড়া গ্রামে টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ছলিমুদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলামের (৩৫) সঙ্গে একই গ্রামের শ্রমিক আব্দুর রহিমের শ্রমিক দলের সংঘর্ষ ঘটে। এতে কামরুল গুরুতর আহত হন। এসময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতে কামরুলের মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে কামরুলের স্ত্রী বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে ডিমলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, সব ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
জিপি