ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

নির্বাচনের পরিবেশকে মেঘাচ্ছন্ন করা হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
নির্বাচনের পরিবেশকে মেঘাচ্ছন্ন করা হচ্ছে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা ষড়যন্ত্র চলছে, দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে। নির্বাচনের পরিবেশকে মেঘাচ্ছন্ন করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন। ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশন চলছিলো।

প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় আরও অংশ নেন সাবেক বিমানমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊ শৈ সিং, সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, মুক্তিযুদ্ধকালীন সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, একেএমএ আউয়াল সাইদুর রহমান এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, সানজিদা খানম, বেগম খোরশেদ আরা হক প্রমুখ।
 
আলোচনায় অংশ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, টানা ১০বারের বাজেট দেওয়ার বিরল সম্মান পৃথিবীর খুব কম অর্থমন্ত্রীরই রয়েছে। সামনে আগামী নির্বাচন। তাই বাজেটে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে এটাই স্বাভাবিক। একটি সরকার শুরুর দিন থেকেই জনগণের আস্থা অর্জন করে জনগণের রায় নেয়। চারটি বছর কিছু না করে একটি বছর কাজ করে কোনোদলই জনগণের আস্থা অর্জনের রসদ যোগাতে পারে না। বাংলাদেশের অর্থনীতির বিস্ময়কর সাফল্যে বিশ্ব নেতারা স্বীকার করছেন, উন্নয়নের রোলমডেল হয়েছে বাংলাদেশ। সমৃদ্ধির পথযাত্রায় চলছে বাংলাদেশ।
 
তিনি বলেন, আমরা কখনো মসৃণ পথে চলতে পারিনি। শত ষড়যন্ত্র ও মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই শেখ হাসিনাও কোন অপশক্তির কাছে মাথা নোয়ান না। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা মানবিক কারণে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছেন। কিন্তু এটি নিয়েও নানা উস্কানি দিয়ে পাশ্ববর্তী দেশের সঙ্গে যুদ্ধাবস্থা বাঁধানোর ষড়যন্ত্র হয়েছে।  
 
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা ষড়যন্ত্র চলছে, দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে। নির্বাচনের পরিবেশকে মেঘাচ্ছন্ন করা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার প্রিয়জনরাই তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। ১১ বছর মামলা চলার পর রায়ে দণ্ডিত হয়ে সাজা ভোগ করছেন। এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা সরকারের কী করার আছে? সরকারের তো করার কিছু নেই, আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করতে পারেন। আর খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়েও নানা বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে। নানা বায়না ধরছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের পথে চলে, অন্য কোন বাঁকা পথে ক্ষমতায় আসেনি, আসার চিন্তাও নেই।  

তিনি সঞ্চয়পত্রের ওপর থেকে সুদ না কমানোর জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
 
সাবেক বিমানমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, টানা ১০টি বাজেট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে দেওয়া প্রতিটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবারের বাজেটে প্রতিটি ক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে, যাতে জনগণ উপকৃত হবেন।
 
বিএনপি-জামায়াতের অতীতের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় আগামী দিনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের জনগণ নয়, বিএনপি এখন বিদেশে গিয়ে ধর্না দিচ্ছে, দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব নেতারা কেউ-ই বিএনপির কথা শোনে না, কারণ তারা জানেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার কীভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর আগামী নির্বাচন জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়। কিন্তু কী নিয়ে সংলাপ? নির্বাচন নিয়ে কোন কথা থাকলে নির্বাচন কমিশনকে বলুক।
 
সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ বলেন, দুর্নীতির কারণে খালেদা জিয়া জেলে রয়েছেন। এ মামলা তো বর্তমান সরকার দেয়নি। দুর্নীতি করবেন, আদালতের রায়ে জেলে যাবেন, এতে সরকারের দোষ কোথায়? নির্বাচনমুখী বাজেটের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, এই সরকারের লক্ষ্য উন্নয়ন। আর উন্নয়ন হলে তো জনগণ আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে। ফলে নির্বাচনীমুখী বাজেটের সমালোচনার কোন সুযোগ নেই বলে তিনি দাবি করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা,  জুন ১৯, ২০১৮
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।