ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলতে শুরু করেছে রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
খুলতে শুরু করেছে রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতান খুলতে শুরু করেছে রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঈদের পর খুলতে শুরু করেছে রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতান। ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ ও পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকলেও পসরা নিয়ে বসতে শুরু করেছেন বিক্রেতারা।

মঙ্গলবার (১৯ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকান বন্ধ থাকলেও নিত্য প্রয়োজনীও পণ্যের বেশ কিছু দোকান খুলে বসেছেন দোকানিরা। তবে সকাল থেকে টানা বৃষ্টির ফলে অনেকেই দোকান খুলেছেন দুপুরের পর।

তবে তাতে ক্রেতার সংখ্যা ছিল নিতান্তই হাতে গোনা।

অপরদিকে এখনও বন্ধ থাকতে দেখা গেছে অভিজাত শপিংমলগুলো। পান্থপথের বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, হাতিরপুলের ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালেব প্লাজা বন্ধ থাকলেও ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ ও পুরানা পল্টন এলাকার বিভিন্ন দোকান খোলা দেখে গেছে।

শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকটি খাবার দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকলেও বন্ধ ছিল বাকি সবগুলো। খুলতে শুরু করেছে রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতান।  ছবি: বাংলানিউজশাহবাগের ওষুধ ব্যবসায়ী বিকাশ দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের ছুটি কাটিয়ে গতকালই ঢাকা ফিরেছি। একটু বেশিদিন গ্রামে থাকার ইচ্ছে থাকলেও কর্তব্যবোধ থেকে তা পারি না। ওষুধের জন্য রোগীরা সবসময়ই ছোটাছুটি করেন, তাই যতো দ্রুত সম্ভব দোকান খুলতে হয়। যারা এখনও গ্রাম থেকে আসেনি বা দোকান খোলেননি, তারাও খুব দ্রুতই চলে আসবেন।

হাতিরপুল বাজারের ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন জানান, স্থায়ী বাসিন্দা বলেই এখন ঈদের পর এত দ্রুত দোকান খোলা রাখতে পেরেছি। যারা বাইরের বা গ্রামে গেছেন ঈদ করতে, তাদের দোকানগুলো খুলতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।

ফার্মগেটের তেজতুরী বাজারের ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান জানান, ঈদের কারণে প্রায় সব ব্যবসায়ীই এখন দোকান বন্ধ রেখেছে। তবে দু'একদিনের মধ্যেই প্রায় সবগুলো দোকান খোলা হবে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে বিভিন্ন মুদি দোকান, ওষুধের দোকানসহ বেশ কিছু খাবার হোটেল ও বিভিন্ন ওলি-গলির মোড়ে ছোট ছোট দোকান খোলা রয়েছে। তবে পোশাকের দোকান, বড় বড় আড়ত ব্যবসায়ীরা এখনও বসেননি তাদের পসরা সাজিয়ে।

পুরানা পল্টন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আকবর রহমান জানান, ঈদের সময়তো ঢাকা একদম ফাঁকা হয়ে যায়। ঢাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা এ সময় গ্রামে চলে যান ঈদ করতে। ফিরতে ফরতে চার-পাঁচ দিন লেগে যায়।

তিনি জানান, এবার অন‌্যান্য বারের তুলনায় দোকানগুলো একটু বেশিই খুলেছে। কয়েক বছর আগেও ঈদের পাঁচদিনের মধ্যে কোনো দোকানই খোলা দেখা যেতো না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।