এদিকে রাজধানীর স্কুল-কলেজগুলোতে এখনও ছুটির আমেজ বিরাজ করছে। যে কারণে এখনও রাজধানী অনেকাংশই ফাঁকা।
তবে প্রতিদিনই যে গ্রাম থেকে রাজধানীমুখী হচ্ছে মানুষ তা গাবতলী বাস টার্মিনালে গেলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। মঙ্গলাব (১৯ জুন) সকালে দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে যাত্রীবোঝাই বাসগুলো এসে গাবতলীতে থামতেই একে একে যাত্রীরা নামতে শুরু করেন। রাস্তায় কোনো দুর্ভোগ না থাকায় যাত্রীদের মনেও আনন্দের ঝিলিক। যাত্রীদের মুখে নেই ক্লান্তির ছাপ, নেই দুর্ভোগের অভিযোগ।
ফরিদপুর থেকে সাউথ লাইন বাস সকাল ৮টায় ছেড়ে সকাল ১১টার মধ্যেই গাবতলীতে হাজির। ঘাটে কোনো রকম যানজট নেই বলে জানালেন চালক মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘাটে কোনো জ্যাম নেই, ঘাটে আসার সঙ্গেই ফেরি পেয়েছি। দেখেন না সকাল ৮টায় ছেড়ে ১১টায় চলে এসেছি। অন্য সাধারণ দিনেও অনেক সময় এতো তাড়াতাড়ি আসা যায় না।
এদিকে যশোর থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইন বাসটিও অল্প সময়ের মধ্যেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছে বলে দাবি করেন যাত্রী জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবার রাস্তায় বসে থাকতে হয়নি। অন্য বছরে দেখা গেছে পাটুরিয়া ঘাটেই দিন কেটে যেত। এবার অনেক ফেরি থাকায় সেই সমস্যায় পড়তে হয়নি। বাড়িতে সবার সঙ্গে ঈদ করে নিরাপদে ঢাকায় ফিরতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
গাবতলীতে একের পর এক বিভিন্ন রুটের বাস ঈদফেরত যাত্রীদের নিয়ে হাজির হচ্ছে। সোহাগ পরিবহনের গাবতলী শাখার ম্যানেজার সোলাইমান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এবার ফিরতি ট্রিপে কোনো শিডিউল বিপর্যয় নেই। যথাসময়ে গাড়ি ছেড়ে আবার সময়মতো গাবতলীতে চলে আসছে। মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার যত যাত্রী আসবে তার সমান যাত্রী আসবে শুক্রবারে। ওইদিন প্রচুর চাপ। ঈদের ছুটি শেষ হলেও অধিকাংশ মানুষ সাধারণ ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি যোগ করে বেশি সময় গ্রামে থাকছে। তাই আগামী শুক্র এবং শনিবার অধিকাংশ যাত্রী আসবে।
তাছাড়া পোশাকশিল্প কারখানার কর্মীরা এখনও ফিরতে শুরু করেনি। অনেকেই চলতি সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে কাজে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
এসএম/আরআর