সোমবার (১৯ জুন) দুপুর ২টার দিকে চালগুলো জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দরিদ্রদের জন্য ৩ হাজার ৮০টি কার্ড বিলি করা হয়।
ঈদের জন্য বরাদ্দ করা চাল বিলি না করে চেয়ারম্যান ও সচিব তাদের জিম্মায় রেখে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ৬০ বস্তা চাল বিলি না করে রেখে দেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কর্মকর্তারা গিয়ে ৬০ বস্তা জাল জব্দ করেন এবং চালগুলো ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে সিলগালা করে রাখেন।
চাল আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জানান, ৩ হাজার ৮০টি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কাছে প্রায় ৩শ’ কার্ড দেওয়া হয়েছে। দুই হাজার ৭শ’র বেশি কার্ডধারী চাল নিয়ে গেছে। বাকি ৩শ’ কার্ডের লোকজন চাল নিতে আসেনি। ফলে চালগুলো পরিষদে রেখে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্যই হয়তো ক্ষমতাসীন দলের নেতারা কার্ডগুলো বিতরণ না করে নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছেন। এছাড়া পরিষদের সচিব অসুস্থ থাকায় ৩শ’ বিলি করা কার্ডের লোক চাল নিতে কেন আসেনি তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান বলেন, সংবাদ পেয়ে ওই ইউনিয়নের দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসারকে পাঠিয়ে চালগুলো একটি কক্ষে রেখে সিলগালা করে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
আরআর