ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদে বেড়েছে দুর্ঘটনায় হাড়ভাঙা রোগীর সংখ্যা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
ঈদে বেড়েছে দুর্ঘটনায় হাড়ভাঙা রোগীর সংখ্যা সম্প্রতি দুর্ঘটনায় বাড়ছে হাড়ভাঙা রোগীর সংখ্যা। ছবি/বাংলানিউজ

ঢাকা: সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে দুর্ঘটনায় হাড়ভাঙা রোগীর সংখ্যা। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে কর্মস্থল থেকে নিজ ঘরে ফেরাসহ ঘোরাঘুরির সময় এসব দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে। এরমধ্যে হাসপাতালগুলোতে ঈদের দিনই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ দুর্ঘটনায় হাড়ভাঙা রোগীর সংখ্যা দেখা গেছে।

সোমবার (১৮ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর বা সাবেক পঙ্গু হাসপাতাল) ঘুরে জানা যায় এসব তথ্য।

নিটোর সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন হাড়ভাঙা বা হাড়জনিত সমস্যায় ভুক্তভোগী রোগীরা হাসপাতালটিতে আসেন।

এদের মধ্যে বেশিরভাগই দুর্ঘটনার কারণে জরুরী বা আহত অবস্থায় আসেন। তবে ১০ জুন থেকে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। ১০ জুন হাসপাতালটিতে সর্বমোট রোগীর সংখ্যা ছিলো ১৫৪ জন, ১১ জুন ১৬৮, ১২ জুন ১৪৭, ১৩ জুন ১৬৫, ১৪ জুন ১৫২, ১৫ জুন ১৫০, ১৬ জুন ১৭৩ ও ১৭ জুন ১৬৭ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। এরমধ্যে ঈদের দিন শনিবার (১৬ জুন) সর্বোচ্চ পরিমাণ রোগী এসেছিলো হাসপাতালটিতে। এদের অধিকাংশই হাসপাতালে ভর্তি থাকার মতো গুরুতর আহত ছিলো।   

দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন এক ব্যক্তি।  ছবি/বাংলানিউজ

উত্তরাবাসী নাজমুল হাসান ঈদের পরদিন ঘুরতে গিয়েছিলেন একই এলাকায় তার বোনের বাসায়। রিকশায় যাওয়ার সময় ফাঁকা রাস্তায় একটি দ্রুতগামী প্রাইভেটকার এসে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশা উল্টে পাশের ড্রেনে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যায় তার। অপারেশনের জন্য তিনি হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন। নাজমুল হাসানের ছেলে রাইদ বাংলানিউজকে জানান, এখানে চিকিৎসা সেবা ভালো পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। আজ অপারেশন হবে। এরপর হয়তো একদিন হাসপাতালে থেকে প্লাস্টার করা অবস্থায় বাসায় ফিরে যেতে পারবো।

ঈদে ডিউটিরত হাসপাতাল কর্মী জেনেট গোমেজ বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের মধ্যে আমরা যারা অন্য ধর্মাবলম্বী আছি তারাই ডিউটিতে থাকি। আর ঈদে এরকম রোগীদের চাপ থাকবে তা খুবই স্বাভাবিক। সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়াও আরও কিছু রোগী আসে যেমন নির্মাণ শ্রমিক, ছোট বাচ্চারাসহ বিভিন্ন রকমের। আমরা ঈদের পরে কিংবা আমাদের ধর্মীয় উৎসবের সময় আমরা ছুটিতে থাকি। এভাবে মিলেমিশে আমরা রোগীদের সেবা করে থাকি।

এদিকে, রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত ট্রমা সেন্টারের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক মুন্সী জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঈদের মধ্যে আমাদের এখানেও দুর্ঘটনার স্বীকার অনেক রোগী এসেছেন। কিন্তু বেশিরভাগই চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। বেশকিছু রোগী ভর্তি আছে এখনও। তবে বছরের অন্যান্য সময় থেকে এই দুই ঈদের সময়েই বেশি হাড়ভাঙা রোগী আসে। এর মধ্যে কোরবানী ঈদে রেকর্ড সংখ্যক রোগী আসে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
এমএএম/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।