সোমবার (১৮ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান তিনি।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্প বিকাশে চট্টগ্রাম ব্যতীত সকল হোটেল, রিসোর্টকে ৫-১০ বছরের জন্য কর অবকাশ করা হোক।
তিনি বলেন, আমাদের পাঁচ তারকা মানের হোটেল এবং রিসোর্টে হার্ড ড্রিংক-এর ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু এই হার্ড ড্রিংক-এ যে হারে কর আরোপ করা হয়েছে তা অত্যধিক। এটা কমিয়ে আনার অনুরোধ করিছ। হার্ড ড্রিংক-এর ওপর যে হারে ট্যাক্স নেওয়া হয় তাতে বিদেশিরা খুশি না, ফলে বিক্রিও কম হয়। বর্তমানে সারাদেশে অনুমোদিত বারের সংখ্যা মাত্র ৯৬টি। অথচ গুলশান-বনানীতে যেকোনো রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে গিয়ে যেকোনো ধরনের ড্রিংক-এর অর্ডার করলে ওরা সার্ব করে দেয়, কিন্তু তারা কোনো ট্যাক্স দেয়া না। কারণ তাদের লাইসেন্স নাই। তাই যারা এসব করছে তাদের বৈধভাবে মদ বিক্রি করার সুযোগ দিয়ে দেন। যারা মদ বিক্রি করছে তাদের ‘অ্যালাউ’ করে দেন। অবৈধ সব বারকে অনুমোদন দেওয়া হোক। এছাড়া হার্ড ড্রিংক-এর ওপর ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।
সংসদ সদস্যদের দাবির মুখে সবাইকেই প্লট দেওয়া হয়েছে জানিয়ে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আপনাদের ৩৫০ জন সংসদ সদস্যকেই প্লট দেওয়া হয়েছে। তিন কাঠা করে হলেও সবাই পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের এটা উপহার হিসেবে দিয়েছেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এমপিওভুক্তির কথা বলা হলেও বাজেটে কাগজে কলমে কোনো কিছু দেখছি না। আমার অনুরোধ থাকবে এটাকে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে থাকুক এবং প্রতিটি সংসদীয় আসনে অন্ততপক্ষে দুইটা করে হলেও এমপিওভুক্ত করার অনুরোধ করছি। আল্লাহর ওয়াস্তে এমপিওভুক্ত করে দেন, না করলে আমাদের কষ্ট হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘ্ণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ