রোববার (১৭ জুন) বিকেলে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এর পর ৩টার দিকে প্রিয়াকে নোয়াখালী প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত প্রিয়া উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সাতরাপাড়া গ্রামের নোয়া মিয়ার মেয়ে ও সাহপুর ইউনিয়নের সোমপাড়া গ্রামের আল-আমিনের স্ত্রী।
স্থানীয়রা ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে প্রিয়ার বড় বোন পাখি আক্তারের সঙ্গে সোমপাড়া গ্রামের মৃত কালাম মিয়ার ছেলে আল-আমিনের বিয়ে হয়। গত ৬ বছর আগে একটি ছেলে সন্তান রেখে মারা যায় পাখি। এরপর পরিবারের লোকজন বাচ্চা লালন পালনের কথা চিন্তা করে গত দুই বছর আগে পাখির ছোট বোন প্রিয়াকে আল-আমিনের সঙ্গে বিয়ে দেয়। এরপর থেকে আল আমিন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সময় প্রিয়াকে মারধর করতে থাকে। এসব ঘটনার জেরে রমজানের আগে প্রিয়া তার বাবার বাড়ি চলে আসে।
ঈদের কেনাকাটা না করে দেওয়ায় শনিবার সকালে মোবাইলে আল আমিন ও প্রিয়ার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রোববার সকালে ঈদের কেনাকাটা করে দেবে বলে প্রিয়াকে চাটখিল বাজারে যেতে বলে আল আমিন।
এর সূত্র ধরে বেলা ১১টার দিকে চাটখিলে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় প্রিয়া। কিছু দূর যাওয়ার পরেই আল আমিন অতর্কিত হামলা করে প্রথমে প্রিয়ার পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ও পরে গলা কেটে পালিয়ে যায়।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের লোকজন প্রিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল ও পরে বিকেল ৩টার দিকে জেলা শহরের নোয়াখালী প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত আল আমিনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
আরএ