রোববার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় খুরুশকুলের গেইল্যা বাপের পাড়ায় ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত কামাল ওই এলাকার মৃত সৈয়দ নুরের ছেলে এবং খুরুশকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য শেখ কামালের চাচাতো ভাই।
শেখ কামাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘চেয়ারম্যানের ভাতিজা মনসুর ও তার শ্যালিকা মোটরসাইকেলযোগে সকালে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেসময় আফসারের ভাতিজা বেলাল উদ্দিন পেছন থেকে অশালীন মন্তব্য করেন। এ নিয়ে বেলালের সঙ্গে মনসুরের বাকবিতণ্ডা ও মারামারি হয়। পরে মনসুর সেখান থেকে চলে গিয়ে স্বজনদের বিষয়টি জানায়। বিকেল ৪টায় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে তার লোকজন বেলালের বাড়িতে যায়। সেখানে বেলালকে না পেয়ে তার চাচা আফসারকে গণপিটুনি দিয়ে আহতাবস্থায় নিয়ে যায়। তবে তাকে হাসপাতালে না নিয়ে বাংলাবাজার এলাকায় ফেলে রাখে। ’
শেখ কামাল বলেন, ‘বাংলাবাজার থেকে আমি আফসারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল নিয়ে যাই। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ’
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মনসুর ও তার শ্যালিকাকে ইভটিজিং করেছেন শেখ কামালের ভাতিজা (বেলাল)। এর প্রতিবাদ করায় মনসুরকে বেধড়ক মারধরও করা হয়। বিষয়টি সুরাহা করার জন্য আমি কয়েক দফায় শেখ কামালকে ফোন করি। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তখন ঘটনার মীমাংসা করতে আমি ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু সেসময় বেলাল ও কালাপুতুরের নেতৃত্বে ২০-৩০ জন আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। পরে উভয়পক্ষে হাতাহাতি হয়। এতে গণপিটুনির শিকার হয়ে কালাপুতু গুরুতর আহত হলে আমি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল আনি। ’
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার সিংহ বাংলানিউজকে জানান, চেয়ারম্যানকে হাসপাতালেই ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।
আর ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী আরেক এসআই প্রদীপ চন্দ্র দে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। এ ব্যাপারে কথা বলবেন ওসি। ’
যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, ‘খুরুশ্কুলে একটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, এ বিষয়ে এখনও জানা সম্ভব হয়নি। আমরা হ্ত্যার কারণ জানার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করেছি। নিহতের মরদেহ ময়না-তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
টিটি/এইচএ/