বেড়িবাঁধের পাশে দোকানপাট, ঘর-বাড়ি, বালু মহাল, ফুটপাতহীন সরু রাস্তা আর ধুলোবালিতে বিনোদন তো দূরের কথা অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করছে এখানে।
ঈদুল ফিতরের পরের দিন রোববার (১৭ জুন) বিকেলে মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
এখনো বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে এখানে বেড়াতে আসেন কেউ কেউ। গাড়িতে কিংবা বর্ষায় ট্রলারে ঘুরতে আসেন কেউ কেউ।
রাস্তা থেকে কিছুটা দূরত্ব রেখে তৈরি কয়েকটি নামকাওয়াস্ত বাগানবাড়িতে ঘুরে ফিরে অনেকে দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা করেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে ট্রলারে দল বেধে বেড়াতে এসেছেন মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ট্রলারে মজা করতে এখানে এসেছি। আমাদের এখানে আসতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মতো লেগেছে। ট্রলারে আসতে আসতে যা মজা করেছি, বেড়িবাঁধে কিছু নেই।
গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রলারে করে যারা এসেছেন সবার বক্তব্য একই, বেড়িবাঁধের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে।
তারা বলেন, ট্রলারে ঘুরে বেড়াই এটাই আসল আমাদের কাছে। এখানে কিছু সময়ের জন্য ট্রলার থামালেও অনেকে ট্রলার থেকে বেড়িবাঁধে নামেন না।
মিরপুর-১৪ নম্বর থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন রাকিবুল হাসান।
তিনি বলেন, রাস্তা দিয়ে সেকেন্ডে সেকেন্ডে গাড়ি যাচ্ছে। ধুলোবালিতে ভরা চারদিক। রাস্তার পাশে কোনো জায়গা নেই। দোকানপাট গিঞ্জি পরিবেশ।
রাকিবুল বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে এসেছিলাম। তখন এ জায়গাটা এতো ব্যস্ত আর গিঞ্জি ছিল না। বাঁধের পাশে বাড়ি ঘর ছিল না। বর্ষায় বিলের পানিতে ঢেউ ছিল, নির্মল বাতাস ছিল, এখন কিছুই নেই। এসে বুঝলাম সময়টাই নষ্ট করলাম।
বেড়িবাঁধের আশপাশে গড়ে ওঠেছে কিছু ঝুপড়ি ঘর। কিছু তরুণ-তরুণীকে এখানে আসতে দেখা যায়। এখানে এসে অনেকে সংঘবদ্ধ চক্রের কাছে প্রতারিত হন। ব্ল্যাকমেইলে শিকার হয়ে টাকা ও সম্মানের সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।
ঝুপড়ি ঘরের একটি রেস্টুরেন্টের এক কর্মচারী বলেন, এখন আগের মতো লোকজন এখানে আসেন না। বিভিন্ন ঘটনার বিষয়ে যারা সচেতন তারা আসেন না, ভয় আছে। পুলিশ মাঝে মধ্যে রেইড দেয়। এখন অনেক নিয়ম-কানুন মানতে হয় সবাইকে।
এখানকার চায়ের দোকানদার কাউসার আলম বলেন, ব্যবসা খারাপ, মানুষজন আসে না। আসবেই বা কেন? পরিবেশ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
এমইউএম/আরবি/