ঈদের দ্বিতীয় দিন রোববার (১ জুন) ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে এসেছেন আরও অসংখ্য মানুষ। দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাল পাড়ার অধিবাসী হাফিজুর রহমান, খালিশপুরের নাসিম উদ্দিন, নুর উদ্দিন, রফিকুল, ইজিবাইক চালক আজিবর, চটপটি ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে কথা হলে সবাই প্রায় একই ধরনের কথা বলেন।
নিরাপত্তার প্রশংসা করে তারা বলেন, এখানে রাত দশটা পর্যন্ত বসে থাকা যায়। কেউ ঝামেলা করে না। চোর-বাটপার নেই বললেই চলে।
প্রায় প্রতি ঈদে রূপসা সেতুতে আসেন কথা সাহিত্যিক মোহাম্মদ অয়েজুল হক। এটা পার্ক নয়, এখানে কেন আসেন- এমন প্রশ্নের জবাবে নিচে প্রবাহিত নদীর পানি দেখান। বলেন, নদী ভালোবাসি, নদীর সঙ্গে সখ্যতা। তাই ছুটে আসি। নদী আমাকে ডাকে।
ছোট ছোট ঢেউ। নির্মল বাতাস। খুলনা শিপইয়ার্ডের ছোট বড় জাহাজ, চলমান ছোট নৌকা, ট্রলার। দূরে আকাশ আর নদীর মিতালি। সেতুকে ঘিরে রেখেছে যেন গোটা শহর।
রূপসা সেতু পরিচালনাকারী ও টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান ইউডিসি-জিআইইটিসি- জেভি-এর নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার তৌফিক আহমেদ রনি বাংলানিউজকে বলেন, ভ্রমণপিপাসুরা কোনো উৎসব হলেই সবচেয়ে বেশি ভিড় করেন রূপসা সেতু এলাকায়। যার ব্যতিক্রম ঘটেনি এবাবের ঈদেও।
রনি বলেন, সেতু ও তার দু’পাশ মিলে সর্বমোট ১৩শ ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য। খুলনা শহরের রূপসা থেকে সেতুর দূরত্ব ৪.৮০ কি.মি। এই সেতুকে খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার বলা হয়। কেননা এই সেতু খুলনার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর বিশেষত মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে। এই সেতুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, দুই প্রান্তে দু’টি করে মোট চারটি সিঁড়ি রয়েছে। যার সাহায্যে মূল সেতুতে ওঠা যায়।
‘প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেতুটি পরিদর্শন করতে আসেন। গভীর রাত পর্যন্ত অনেক দর্শনার্থী সেতুর দু’পাড়ে আড্ডা জমান। পুলিশের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী থাকায় দর্শনার্থীদের কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হয় না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
এএ