টানা বৃষ্টি, বন্যা ও পাহাড়ে খুন-অপহরণের কারণে এবার খাগড়াছড়িতে তেমন পর্যটক আসছে না। ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে অধিকাংশ বুকিং বাতিল করেছে পর্যটকরা।
খাগড়াছড়ি গাইরিং হোটেলের ব্যবস্থাপক মো. নয়ন খান জানান, প্রথমে খুন-অপহরণের কারণে এক দফায় বুকিং বাতিল হয়। সর্বশেষ টানা বৃষ্টি, বন্যা এবং পাহাড় ধসের কারণে পর্যটকরা আসবে না জানিয়ে আবার বুকিং বাতিল করেছে।
হোটেল অরণ্য বিলাসের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুর রশিদ সাগর বলেন, বুকিং বাতিল করতে এখন হোটেলে ৩০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। বন্যা, পাহাড় ধসসহ বিভিন্ন কারণে পর্যটকরা পাহাড়ে আসতে চাচ্ছে না। এবার ব্যবসায়িকভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
খাগড়াছড়ি হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, সারা বছর তো আমাদের ব্যবসা হয় না। বিশেষ দিনগুলোতে যা হয়। এবারের পর্যটকদের উপস্থিতি হতাশজনক। এভাবে চলতে থাকলে মারাত্মক ব্যবসায়িক ক্ষতি হবে। খাগড়াছড়ি থেকে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নেবে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আলী আহম্মেদ খান বলেন, আমরা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেক স্পট, গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। পর্যটকরা নিরাপদে সবখানে ভ্রমণ করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ১৭ জুন, ২০১৮
এডি/আরআর