কমলাপুর স্টেশনে দেখা গেছে, ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ভোরের দিকে এসেছেন অনেকে।
যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে রোববার একাধিক ট্রেন রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এদিন ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ৩০টি ট্রেন। এর মধ্যে ১৪টি আন্তঃনগর, নয়টি মেইল ট্রেন, ছয়টি লোকাল এবং একটি স্পেশাল ট্রেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে আটটি ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
সাহাবুল ইসলাম পেশায় রিকশাচালক। পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ি। তিনি বলেন, ঈদের আগে টিকিট কাটতে এসে পাইনি, তাই আজ এসেছি। আজও অনেক ভিড়। আমার মতো অনেকেই আজ ঢাকা ছাড়ছে।
ঈদের পরে গ্রামে গিয়ে পুরো আনন্দ কি পাবেন-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোনো সময় ঢাকায় ঈদ করা হয়নি। ঢাকায় ঈদ করতে পেরেও ভালো লাগছে। তবে গ্রামে হলে আরও ভালো হতো। গ্রামে সবাই সবার বাড়ি যেতে পারে, সবাই একসঙ্গে বসে গল্প করি আড্ডা দিই, যেটা এখানে হয়নি। তবে ঈদের পরে হলেও গ্রামে গিয়ে সেই আনন্দ আজও পাবো।
নাদিয়া রহমান নামে অন্য এক যাত্রী বলেন, বাচ্চাকে নিয়ে ঈদের আগে যাওয়ার চেষ্টা করিনি। গ্রামে বাবা-মা সবাই আছে। আজ গিয়ে জমিয়ে আড্ডা দেব। যদিও ঈদের সেই আনন্দ, ছোটদের সেলামির আবদার ঢাকাতে পাইনি।
তিনি বলেন, ঈদের পরদিন হলেও আজ গ্রামে যেতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
যাত্রী শরিফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) আমার টিকিট কাটা ছিল কিন্তু ভিড় আর শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে পরিবার নিয়ে যেতে পারিনি। আজ মনে করেছিলাম ভালোভাবে যেতে পারব, সেটা আর হলো না। কারণ আজও ঈদের আগের মতোই ভিড়। তবে আজ বাড়ি ফিরবো যত কষ্টই হোক।
বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, আজ যাত্রীদের যাতে ভোগান্তি না হয় এ জন্য পর্যাপ্ত ট্রেন রেখেছি। যারা ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে পারেননি আশা করছি আজ তারা ভালোভাবে বাড়ি ফিরতে পারবেন। পরিবারকে সময় দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৮
ইএআর/আরআর