তারা একে অপরের হাত ধরে হাঁটছেন, সবুজ ঘাসের ওপর বসে আড্ডা দিচ্ছেন। কেউ কেউ সেলফি তুলছেন, তা আবার ফেসবুকে আপলোডও করছেন।
শনিবার (১৬ জুন) বিকেলে হাতিরঝিলে চোখে পড়ে এমন দৃশ্য।
বিকেল শুরু হতে না হতেই দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন হাতিরঝিলে, কিছুক্ষণের মধ্যেই যেন এলাকাটি মিলনমেলায় পরিণত হয়। প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে রাজধানীর তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা এবং মধুবাগসহ চারদিকের বিনোদনপ্রেমীরা আসছেন হাতিরঝিলে।
একদিকে মৃদু বাতাস, অন্যদিকে কদম ফুল, নারিকেল গাছসহ সবুজ ঘাস বেষ্টিত ঝিলের বিশাল সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে স্ত্রী, সন্তান এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে অভিভাবকরা আসছেন দলে দলে।
ওভারব্রিজের পাশাপাশি উৎসবপ্রেমীদের আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গেছে ঝিলের পানিতেও। ওয়াটার ট্যাক্সি, ওয়াটার বোট এবং প্যাডেল বোট আনন্দে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
ওয়াটার ট্যাক্সিতে ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের ছিল দীর্ঘ লাইন। তার চেয়ে বড় লাইন ছিল প্যাডেল বোটে। শিশু-কিশোরদের পছন্দ মতো বোটে চড়ানোর জন্য বাবা-মা’দের এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন মহাখালীর বাসিন্দা আরিফুর রহমান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অন্য সময় সন্তানদের তেমন একটা সময় দিতে পারিনা। তাই ঈদের ছুটিতে তাদের নিয়ে হাতিরঝিলে এলাম। প্যাডেল চালিত নৌকায় করে ওদের ঘুরিয়েছি, খুব আনন্দ পেয়েছে।
বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে আসা আরিফ বাংলানিউজকে বলেন, ওয়াটার ট্যাক্সি, প্যাডেল বোট এবং চক্রাকার বাসে চড়ে হাতিরঝিলের অপরূপ দৃশ্য দেখতে অনেক ভালো লাগে। তাই ঈদের দিন এসেছি।
মিরপুরের বাসিন্দা মনিরা আক্তার হীরা বাংলানিউজকে বলেন, হাতিরঝিলে যতোবার আসি, ততোবারই ভালো লাগে। ঈদের ছুটিতে এখানে ঘুরতে আরও মজা। আমরা সবাই মিলে অনেক অনেক ঈদ সেলফি তুলবো আর মজা করবো।
বন্ধুদের সঙ্গে আসা বনশ্রীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী এনামুল হক বলেন, ঈদ মানে ঘোরাঘুরি, প্রাণ খুলে আড্ডাবাজি, খাওয়া-দাওয়া মন-প্রাণ খুলে আনন্দ করা। তাই হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা।
পুরান ঢাকা থেকে আসা অপূর্ব কুমার দাস বলেন, ঢাকায় বেড়ানোর জন্য হাতিরঝিলের চেয়ে ভালো জায়গা আমার চোখে পড়ে না। আজকে রাস্তা-ঘাট ফাঁকা পেয়েছি তাই স্ত্রীকে নিয়ে একটু ঘুরতে বের হয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
এমএফআই/আরএ