ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের দিনেও ‘ব্যাচেলর খাবার’

মাসুদ আজীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
ঈদের দিনেও ‘ব্যাচেলর খাবার’ ঈদের দিনেও খাবারের দোকানে ভিড়। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ঈদ মানেই উৎসব। এ উৎসবে পরিবার, বন্ধু, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কাটে আনন্দময় মুহূর্ত। তবে এর ব্যতিক্রম হয় ঢাকায় থেকে যাওয়া ব্যাচেলরদের।

পরিবার থেকে দূরে থাকা এ মানুষগুলোর কারো অফিসের ছুটি হয় না কিংবা কেউ টিকিট না পেয়ে থেকে যান । ব্যাচেলর বলেই হয়তো অন্য সময়ের থেকে আরও ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।

আলাপ হয় বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ইমন খানের সঙ্গে। তিনি শোনালেন ভোগান্তি আর ‘ব্যাচেলর খাবার’র গল্প।

তার ভাষায়, ভাতের সঙ্গে ডিম ভাজি অথবা খিচুড়ি হলো ‘ব্যাচেলর খাবার’। তিনি বললেন, ঈদের কারণে তাদের গৃহকর্মী ছুটি নিয়েছেন। রান্নাটাও সেভাবে শেখা হয়নি তার। আর এ কারণে ঈদের দিনেও তাকে ‘ব্যাচেলর খাবার’ খেতে হচ্ছে।      

তিনি আরও বলেন, অফিসে বড় একটি শিপমেন্ট থাকার কারণে ছুটি পেলাম না। ঈদের নামাজ পড়ে চা রুটি দিয়ে সকালের নাস্তা করেছি। গতকাল থেকে হোটেলগুলোও বন্ধ। খাবারের হোটেলগুলো খোলা থাকলে খাওয়ার ভোগান্তি হতো না ।    

মিরপুর এলাকায় থাকেন রফিক। তিনি একটি বায়িং হাউসে কাজ করেন। তিনি বললেন, ঈদের আগের দিন সন্ধ্যার পর থেকেই মিরপুর-১ নম্বর থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত ভাতের হোটেল খুঁজেছি। কয়েকটা বিরিয়ানির দোকান ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট খোলা পেয়েছি। পরে বাধ্য হয়ে বিরিয়ানি খেয়েছি। কিন্তু আজ কি করবো তা জানি না। ভাত না খেলে তো বাঙালির পেট ভরলেও মন ভরে না।

এ সময়টাতে সাধারণত চায়ের দোকানগুলোতে ভিড় জমান ব্যাচেলররা। সকালেই মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায় চা বিক্রেতা হাফিজুলকে।

হাফিজুল জানান, সকাল সাড়ে ছয়টায় দোকান খুলেছি। ৭টা থেকে ভিড়। চাপ সামলাতে হিমিশিম খেয়ে যাচ্ছি। বেকারির রুটি যা ছিলো তা শেষ হয়ে গেছে। আবার অর্ডার দিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
এমএএম/এএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।