শনিবার সকালে চিড়িয়াখানার গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ে অসংখ্য মানুষ। ঈদের নামাজ শেষে অনেকেই চলে এসেছেন।
**চিড়িয়াখানায় সিংহের সঙ্গে সেলফি
দুপুরের পর চিড়িয়াখানার প্রতিটি প্রাণীর আবাসস্থলের কাছে ভিড় করতে থাকে শত শত মানুষ। তাদের কেউ প্রাণীকে খাবার ছুড়ে দিচ্ছেন, কেউ ব্যস্ত সেলফি তোলায়। অনেকে এসেছে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে, কেউ কেউ এসেছে পরিবার নিয়ে।
আবির হোসেন লেখাপড়া করে গর্ভমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে। থাকে কাটাবন এলাকায়। পরিবারের সঙ্গে সে চিড়িয়াখানায় এসেছে। কিভাবে এখানে সময় কাটছে জানতে চাইলে আবির বলে, এখানে অনেক প্রাণী দেখেছি, খুব ভালো লাগছে। অনেক সেলফি তুলেছি। পরিবারের সবাই একসঙ্গে থাকায় আরও বেশি ভালো লাগছে।
শেফালি পেশায় গার্মেন্টস শ্রমিক। ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয়নি তার। আবার কাজের ব্যস্ততা থাকায় পরিবারের সবাই একসঙ্গে বেড়াতে পারেন না। খুব বেশি সময় দিতে পারেন না একমাত্র ছেলেকে। তিনি পরিবার নিয়ে এসেছেন চিড়িয়াখানায়। তিনি বলেন, সকালে বাসায় রান্নার কাজ শেষ করেই চলে এসেছি। কিছু খাবার-পানি সঙ্গে এনেছি। সারাদিন ঘুরবো, পরিবারকে একটু সময় দিতে চায়।
অন্যদিকে একসঙ্গে হাজার হাজার মানুষের আগমন ঘটায় চিড়িয়াখানায় শৃঙ্খলার ঘাটতি দেখা যায় চরমে। নির্দিষ্ট কিছু স্থানে বসা নিষেধ বা প্রাণীর গায়ে ঢিল ছোড়া নিষিদ্ধ হলেও দর্শণার্থীদের অনেকেই কথা শুনছেন না।
হাবিব নামে এক কলেজ শিক্ষক বলেন, চিড়িয়াখানা আমাদের জাতীয় সম্পদ। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের। সবার উচিৎ শৃঙ্খলা বজায় রাখা। অন্যদিকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বারবার মাইকে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সচেতন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
ইএআর/আরআর