ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শান্তিপূর্ণ ঈদ উদযাপনের ভূমিকায় তারা

প্রশান্ত মিত্র, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪২ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
শান্তিপূর্ণ ঈদ উদযাপনের ভূমিকায় তারা ঈদগাহে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: অনাবিল আনন্দের বার্তা নিয়ে ধরনীর বুকে নেমে এলো ঈদ। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ঈদ উন্মাদনায় মেতে উঠেছে সারা দেশ। নামাজ আদায় করতে ঈদগাহ পানে সকাল থেকেই ছিলো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিটি ঈদগাহ, মসজিদ পরিণত হয় মুসল্লিদের মিলনমেলায়। নতুন পাঞ্জাবি গায়ে নামাজ আদায়, একে অপরের সঙ্গে কোলাকোলি করে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন সবাই।

তবে এতো মানুষের ভিড়ে কিছু মানুষের ঈদ এসেছে আর দশটি দিনের মতোই। তারা ঈদগাহে এসেছেন সব মুসল্লির আগে।

নিজেরা জামাতে নামাজ আদায় করতে না পারলেও ঈদগাহ ছেড়েছেন সবার শেষে।

জনসাধারণের ঈদ উদযাপন নিরাপদ করতে শনিবার (১৬ জুন) ভোর থেকেই রাজধানীজুড়ে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। অন্যের আনন্দ নিশ্চিত করতে অন্যান্য দিনগুলোর মতোই কাটছে তাদের ঈদ।

আগে থেকেই পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা ঈদে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার কথা বলেছিলেন। আর সে ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররমসহ নগরীজুড়ে পুলিশের বাড়তি তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতোই। ঈদগাহে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা।  ছবি: জিএম মুজিবুরজাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত উপলক্ষ্যে পল্টন মোড়েই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আর সেখান থেকেই মুসল্লিদের তল্লাশি করে মসজিদের দিকে যেতে দিচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।

এখানে দায়িত্বরত একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাংলানিউজকে বলেন, বড় যেকোনো উৎসব মানেই আমাদের বাড়তি ডিউটি। অল্প কিছু সদস্যরা ছুটি পেলেও বেশিরভাগ সদস্যরাই দায়িত্ব পালন করে। দায়িত্ব পালনই আমাদের ঈদ।

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন না করতে পেরে খারাপ লাগছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ঈদ করলে জনগণ ঈদ করবে কিভাবে? বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে ঈদ করতে পারলে হয়তো ভালো লাগতো। এখনো খারাপ লাগছে না, লাখ লাখ মানুষের ঈদে নামাজ পড়া নিশ্চিত করতে পারছি এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।

জাতীয় ঈদগাহে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক আবুল বাসার বলেন, ভোর থেকেই আমাদের ডিউটি শুরু হয়েছে। পরিপূর্ণ নিরাপত্তায় ঈদ জামাত শেষ হয়েছে এতেই আমাদের স্বার্থকতা। সবার ঈদ মানেই আমাদের ঈদ।

বাড্ডা এলাকার মসজিদে নিরাপত্তা দায়িত্বে ছিলেন বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আশরাফুল করিম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সব মুসল্লিরা শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করছে এটাই আমাদের ঈদ, আমাদের স্বার্থকতা। সবার নামাজ শেষে আমরাও জামাতে নামাজ আদায় করেছি। ঈদগাহে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা।  ছবি: জিএম মুজিবুরগত ১৪ জুন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ঈদ জামাতের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বলেন, ঈদে নিরাপত্তায় নো হুমকি নেই। তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ঈদ জামাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের জামাতে নামাজ আদায় করতে নিরুৎসাহিত করার কথাও জানান তিনি।

র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বিপুল সংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। নামাজ আদায় শেষে স্বজনদের সঙ্গে নগরবাসী বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। তখনও পাশ থেকে পোশাক পরিহিত সে মানুষগুলো দায়িত্ব পালন করবেন, নিশ্চিত করবেন নগরবাসীর ঈদ আনন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।