চার ভাই-বোনের মধ্যে প্রভাত সবার বড়। ছোট দুই ভাই-বোন স্কুলে পড়ে।
শনিবার (১৬ জুন) সকালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কথা হয় প্রভাতের সঙ্গে। ঈদের দিন রিকশায় যাত্রী ও আয় কেমন জানতে চাইলে এসব কথা বলেন তিনি।
তখন সকাল ১০টা বাজে। যাবেন নাকি জিজ্ঞেস করতেই না করে দিলেন। কেনর জবাবে প্রভাত বললেন, ভোর ৬টার দিকে বেরিয়েছি। এখন গ্যারেজে যাচ্ছি খেতে। খাওয়ার পর আবার গাড়ি চালাবো। শুধু প্রভাত একা নন। ঢাকা শহরে তার মতো সব রিকশা চালকেরই একই অবস্থা। ভোরে রিকশা নিয়ে বের হন। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আবার গ্যারেজে ফিরে আসেন সকালের নাস্তা খেতে।
সকালের নাস্তার পর এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে আবারও বেরিয়ে যাবেন রিকশা নিয়ে। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। শুধু ঈদের দিন নয়। এই রুটিনে প্রভাতদের কাজ চলে প্রত্যেক দিনই।
প্রভাত বলেন, প্রতিদিন ১ হাজার বা ১২শ’ টাকা ইনকাম করলে ৫ থেকে ৬শ’ টাকা খরচ হয়। রিকশার মালিককে দিতে হয় ৩০০ টাকা। থাকা-খাওয়ার বিল ১২০ টাকা। নিজের হাত খরচও তো কিছু আছে। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬শ’ টাকা বিকাশের মাধ্যমে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
তিনি আরো বলেন, ঈদের দিন সকালে অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রী অনেক কম ছিল। ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩৫০ টাকার মতো আয় করেছেন। অন্যান্য দিনে যেখানে ৫শ’ টাকা হয়। বিকেলে যাত্রী বাড়লেও তিনি ঈদের দিনে আয় নিয়ে টেনশন করছেন না। কারণ আজকে রিকশা চালানোর জন্য মালিককে কোনো টাকা দিতে হবে না।
গ্যারেজে ঈদের দিন কি রান্না হয়েছে জানতে চাইলে প্রভাত বলেন, সকালে খিচুরি আর সেমাই রান্না হবে। দুপুরে হয়তো গ্যারেজ মালিক ভাত ও মাংস খাওয়াতে পারে। রাতে আগে যেভাবে চলতো, সেভাবেই চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
এসই/আরবি/