এই সুযোগে ঈদের নামাজ শেষে মোটরসাইকেল ও রিক্সায় করে ঘুরতে বেরিয়েছেন অনেকে। আবার কিছু মানুষ গন্তব্যে ছুটছেন।
শনিবার (১৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে সোয়া ১০ পর্যন্ত রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, শাহবাগ, শান্তিনগর, মৌচাক-মালিবাগ, মহাখালী, বাড্ডা এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই মেলে।
দিন দুয়েক আগেও যে রাস্তার ফুটপাত ছিলো হকারদের দখলে, রাস্তায় ছিলো গাড়ি আর গাড়ি, মানুষের পদভারে রাস্তায় হাঁটা যেতো না, গাড়িতে উঠতে গেলে মানুষের ধাক্কা-ধাক্কি; রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকাখ্যাত মতিঝিলের সেই রাস্তা এখন জনমানব শূন্য। এমনকি কোনো গাড়ির শব্দও নেই। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাসা ও অফিসের সামনে দারোয়ানদের দেখা গেছে।
তাই লোকাল বাসেও আরামবাগ-মতিঝিল হয়ে পল্টন আসতে সময় লাগলো মাত্র ৪ মিনিট। পল্টনের রাস্তায় এসে দেখা মিলছে ঈদের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরা মানুষদের। সাদা-নিল, সবুজসহ বিভিন্ন রংয়ের পাঞ্জাবি পায়জামা টুপিপড়া শতশত মুসল্লি রাস্তায় হাঁটছেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি আহসান হাবীব মিল্টন বাংলানিউজকে বলেন, মহাখালী থেকে ঘড়ি ধরে ৯ মিনিটে পল্টন এসেছি। নামাজ পড়েছি। রাস্তায় কোনো জ্যাম নেই। শব্দ দূষণ নেই। আজ ঢাকা শহরটাকে শান্তির শহর মনে হচ্ছে।
জয়দেপুর থেকে এক ঘণ্টায় বায়তুল মোকাররমে আসা ইসহাক আলী বাংলানিউজকে বলেন, প্রভাতী বণশ্রী পরিবহনে মাত্র ৫৫ মিনিটে পল্টন এসেছি। নামাজ পড়েছি। এখন আবার ফিরে যাবো। অথচ গত তিনদিন আগেও সকাল ৭টায় রওয়ানা দিয়ে মতিঝিল আসতে সময় লেগেছে সাড়ে ৫ ঘণ্টা। আবার ফিরে যেতে লেগেছে ৪ ঘণ্টা। ফলে আসা যাওয়ায় দিন পার হয়েছে।
বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা লুৎফর রহমান ইমন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ উপভোগ করতে রাজধানীর লোকজন গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ায় ঢাকা এখন ফাঁকা। তাই রাস্তায় জ্যাম নেই, মার্কেট ও বিপনীবিতানগুলোতে মানুষের ভিড় নেই। নেই ধাক্কাধাক্কি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যদি সবসময় এই রকম থাকতো, তা হলে কতোই না ভালো হতো!
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস