ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচ জামাত সম্পন্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচ জামাত সম্পন্ন বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদের জামাত/ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১৬ জুন) সকাল ৭টায় প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী।

দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়।

এতে ইমামতি করেছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম।

সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস মুফতি মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান।  

চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ১০টায়। এতে ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মাওলানা জুবাইর আহাম্মদ আল আযহারী।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমামতি করেছেন তেজগাঁও রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব ড. মাওলানা মুশতাক আহমাদ।

মোনাজাতে ইমামরা দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় এবং বর্তমানে দেশের সব সমস্যা দূরীকরণে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।  

নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উৎফুল্লতার সঙ্গে ঈদের কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় দেখা গেছে। পাঁচটি জামাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায় ৩য় ও ৪র্থ জামাতে।  

জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে বড়দের হাত ধরে ছোটদের আগমনও ছিল চোখে পড়ার মতো। মসজিদটিতে সর্বদা ছিল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের চাপ। যে কারণে মসজিদের সামনের সড়ক ও মসজিদ এলাকার ভিতরে সব জায়গায় নামাজের জন্য অপেক্ষারত মুসল্লিদের দেখা গেছে। তবে শেষ জামাত বা ৫ম জামাতে মুসল্লিদের চাপ একেবারেই কম ছিল।

জাতীয় মসজিদে প্রথম নামাজ পড়তে এসেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইফতেখার আহমেদ ও তার ৪ বছর বয়সী ছোট ছেলে নাকিব। তৃতীয় জামাতে অংশ নেওয়া মালিবাগের বাসিন্দা ইফতেখার জানান, ঈদ সব সময় ঢাকাতেই করি। এবার প্রথম এলাম এখানে নামাজ পড়তে। ভালো লাগছে এখানে নামাজ পড়তে পেরে। ঈদের অনুভূতিটা দ্বিগুণ হয়ে গেলো।  

নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত শিহাবও প্রথম এসেছেন এখানে ঈদের নামাজ পড়তে। চতুর্থ জামাতে নামাজ পড়েছেন তিনি। বাংলানিউজকে তার অভিব্যক্তি জানাতে গিয়ে বলেন, আমি দুবাই থাকি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে দেশে এসেছি। প্রতিবছর আসতে পারি না। আপডেট নিউজের জন্য আমি বাংলানিউজকে ফলো করি। সেখানে দেখি জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররমে দেশের প্রধান জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে। তখন আমারও ইচ্ছা হয় এখানে ঈদের নামাজ পড়তে। তাই এবার সুযোগ পেয়ে তা হাতছাড়া করিনি। ভোরেই নিজের বাইক নিয়ে রওয়ানা দিয়েছি। এখানে নামাজ পড়ে এখন খুব শান্তি অনুভব করছি।  

তবে এসব আনন্দের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থায় রয়েছে বায়তুল মোকাররমের সামনে ছিন্নমূল ও পথশিশুরা। তাদের সঙ্গে রয়েছে অসংখ্য ভিক্ষুক। মুসল্লিরা আসতেই তাদের জেঁকে ধরছে সবাই মিলে। এর পাশাপাশি মদজিদের সামনে জমে উঠেছে বেলুন, শরবত, ছোটদের বিভিন্ন খেলনার পসরাসহ ভ্রাম্যমাণ দোকান। জমে উঠেছে তাদের ব্যবসাও।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
এমএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।