এর আগে শনিবার (১৬ জুন) সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী।
বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত
মোনাজাতে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় এবং দেশের সব সমস্যা দূর করতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া সব পাপ থেকে মুক্তির প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।
নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অত্যন্ত আনন্দ ও উৎফুল্লের সঙ্গে ঈদের কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময় দেখা যায়। জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে বড়দের হাত ধরে ছোটদের আগমনও ছিলো চোখে পড়ার মতো।
বায়তুল মোকাররমে আসা মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই মসজিদে অনেকগুলো জামাত অনুষ্ঠিত হয় বলে কোনো চাপ ছাড়া অর্থাৎ একটি জামাত ধরতে না পারলেও পরের জামাত পাওয়া যায়। তাই জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা ছুটে আসেন এখানে।
প্রথম জামাতে অংশ নেওয়া মিরপুর-১ থেকে আসা শরিফুল বলেন, ঈদে বাড়ি না গেলে এই মসজিদে এসে ঈদের নামাজ পড়ি। জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ার মাধ্যমে নিজের ভেতর অনেকটা শান্তি অনুভূত হয়। তাই এখানে ছুটে আসি।
দ্বিতীয় জামাত শেষে সরকারি কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, এখানে নামাজ পড়ার বিষয়ে আলাদা একটা শান্তির পাশাপাশি সুবিধাও রয়েছে। একটি জামাত মিস হলে পরের জামাত পাওয়া যায়।
ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুর থেকে ইব্রাহীম মন্ডল এসেছেন তার ছোট ছেলেকে নিয়ে। বাংলানিউজকে তিনি জানান, আমি ভোরেই রওনা দেই। অনেকদিন ধরে আমি এই মসজিদে নামাজ পড়ি। আমার বাবাকেও দেখেছি এখানে ঈদের নামাজ পড়তে। মাঝে মাঝে শুক্রবারও নামাজ পড়তে আসি এখানে। এখানকার টানটা মূলত এটা আমাদের জাতীয় মসজিদ।
বায়তুল মোকাররমে আরও ৩টি ঈদের জামাত পর্যায়ক্রমে সকাল ৯টা, ১০টা ও ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
এমএএম/জেডএস