শুক্রবার (১৫ জুন) দুপুরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া পুরান বাজারের কাছে তেঁতুলিয়া নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মাসুম উপজেলার ধুলিয়া গ্রামের আতাহার হোসেন মৌলভীর ছেলে।
মৃত মাসুমের চাচা আব্দুল গণি বাংলানিউজকে জানান, ঢাকার সূত্রাপুর থানায় এএসআই হিসেবে চাকরি করতো মাসুম। ঈদকে সামনে রেখে ১৩ জুন ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসার জন্য ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি সালাউদ্দিন নামে একটি লঞ্চের যাত্রী হয় সে। তবে এর একদিন আগে মাসুম তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ঢাকা থেকে বাড়ি পাঠান।
ওইদিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে বরিশালের কাছাকাছি পৌঁছালে মাসুম লঞ্চের কার্নিশ দিয়ে পা ফসকে নদীতে পরে যান।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পর থেকে বরিশাল ও চাঁদপুরে তার সন্ধান করেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার দুপুরে তার বাড়ির কাছে ধুলিয়া পুরান বাজার এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় জেলেরা।
পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান আব্দুর রবকে খবর দেয়া হলে তিনি ট্রলার নিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।
চাচা আব্দুল গণি জানান, বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। এসময় বাউফল থানা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এমএস/আরবি/