শুক্রবার (১৫ জুন) সকাল থেকেই ঘাট এলাকায় যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়ার একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়। ঈদ পূর্বে নির্ধারিত ভাড়া ১৮০ টাকা হলেও নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা।
সরেজমিনে দেখা যায়, টিকিটের গায়ে নেই ভাড়ার মূল্য তালিকা। মাইকিং করেই বলা হচ্ছে ভাড়া ২০০টাকা। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে কথা বললে তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। রোজা রেখে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে বাড়তি ভাড়া আদায়ের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী।
অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে সিবোট ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
যাত্রীরা বাংলানিউজকে জানান, শিমুলিয়া ঘাটে সিবোটে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। ঈদে ১৮০ টাকা ভাড়া থাকলেও নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা করে। ভাড়ার বিষয়ে কাউন্টারে কথা বলতে চাইলে তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। কাউন্টারের সামনে ম্যাজিস্ট্রেট আসলে নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হলেও কিছুক্ষণ পরেই আবার আদায় করা হয় বাড়তি ভাড়া।
লৌহজং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিনাত ফৌজিয়া বাংলানিউজকে জানান, ২০০ টাকা দেওয়া হলে ২০টাকা ভাংতি না থাকা ও সময় বেশি লাগায় যাত্রীরা টাকা না নিয়ে চলে যাচ্ছেন। ঘাট এলাকায় থাকাকালীন সময়ে কোনো বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া আইন অমান্য করায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে একটি বাস ও ট্রাকের চারজনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ভাংতি সমস্যার কারণে যাত্রীরা অনেক সময় বাকি টাকা না নিয়ে চলে যান। ঘাটে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে তদারকি করা হচ্ছে। কাউন্টার এলাকা থেকে সরে গেলে যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এনটি