শুক্রবার (১৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় রয়েছে দুই শতাধিক যানবাহন। অপেক্ষমাণ যানবাহনের মধ্যে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। তবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বড় দু’টি ফেরি বিকল হয়ে যায়। অপরদিকে ৪ নম্বর ঘাট এলাকায় আটকে যায় পণ্যবাহী একটি ট্রাক। পরে রেকারের সাহায্যে ট্রাকটিকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে সকাল থেকে যানবাহন বহনের উপযোগী হয় বড় ফেরি দু’টি।
এতে করে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ গাড়ির সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সীমাহীন দুর্ভোগে পরিণত হয় পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা। তবে দুপুরের পর থেকে সেই চাপ কিছুটা কমতে শুরু করে। সবশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের
চাপ তুলনামুলক কিছুটা কমছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ কমতে শুরু করেছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। সবশেষ ঘাট এলাকায় শতাধিক ছোট গাড়ি এবং ৭০/৮০টি যাত্রীবাহী পরিবহন ও ৩০/৪০টি ট্রাক নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যেই যানবাহনগুলো পারাপার করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়ামিন-উদ দৌলা বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ কমতে শুরু করে।
মহাসড়কে এখন লোকাল ও দুরপাল্লার বাসের সংখ্যা অনেকটাই কমে এসেছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ কমছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সন্ধ্যার পর ফের আবার কিছুটা চাপ পড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
কেএসএইচ/জেডএস