কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ধলেশ্বরী পরিবহনের যাত্রী আব্দুল মতিন মিয়া। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি ফার্মে চাকরি করেন।
উত্তরবঙ্গগামী এসআর পরিবহনের চালক বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মহাসড়ক চার লেন হওয়ায় এবার ঈদ যাত্রা খুব ভাল হয়েছে। কোথাও কোন যানজট এবার লাগেনি। কোন প্রকার যানজট ছাড়াই তিনি গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত এসেছেন।
শুক্রবার (১৫ জুন) বিকেলে মহাসড়কের গিয়ে দেখা যায়, স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুন বেশি যানবাহন চলাচল করছে। তাও আবার স্বাভাবিক গতিতেই। যানজট নিয়ে সংশ্লিষ্টদের দুঃশ্চিন্তার কারণ ছিলো মির্জাপুরের ধেরুয়া রেলক্রসিং ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এলাকায়। কিন্তু এই দুই এলাকায় রাস্তা প্রসস্ত করার কারণে সেখানেও নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারছে।
এদিকে, মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে এবং ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে টাঙ্গাইলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মহাসড়কে প্রায় ৮০০ পুলিশের পাশপাশি ১৯০ জন আনসার দায়িত্ব পালন করছে। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার সড়ক চারটি ভাগে বিভক্ত করে চারজন সহাকারী পুলিশ সুপারকে তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিব কুমার রায় বাংলানিউজকে জানান, মহাসড়কে যানজট মুক্ত রাখতে সার্বক্ষণিক পুলিশ, আনসার দায়িত্ব পালন করছে। মহাসড়কে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা যানবাহন বিকল হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক রেকার দিয়ে বিকল হওয়া বা দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এনটি