ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যারা সকাল সকাল বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন তারাই এখন আটকা

সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
যারা সকাল সকাল বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন তারাই এখন আটকা যাত্রীদের ভিড়। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: যারা সকালে এসেছিলেন সকাল সকাল বাড়ি যেতে, শুধু তারাই এখন আটকে আছেন মহাখালীতে। আর যারা মধ্যরাতে এসেছিলেন, তারা প্রায় সকলেই বাসে উঠে মহাখালী ছেড়েছেন।

বিকেল নাগাদ উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যাত্রীদের অন্যতম এই বাস টার্মিনালে যাত্রীর চাপ অনেকটা কমে গেছে। তবে সব বাস কাউন্টারের সামনেই কিছু কিছু যাত্রীর জটলা দেখা গেছে।

তুলানামূলক যাত্রীর চাপ এনা পরিবহনেই বেশি।

এনা কাউন্টারের সামনে টিকিটের লাইনে দাঁড়ানো বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৬টায় এসেছিলেন সকাল সকাল প্রিয়জনের কাছে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এসে দেখেন দীর্ঘলাইন। সেই থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এখনও তার সামনে জন পঞ্চাশেক টিকিট প্রত্যাশী রয়েছেন।

গতবছর ঈদে সকালে এসে দুপুরের মধ্যে বাড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন। এবার বিকেল পেরিয়ে গেছে কিন্তু টিকিটই হাতে পাননি তিনি।

এনা পরিবহনের চালক হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ত্রিশাল থেকে মক্তাগাছা পর্যন্ত জ্যাম। এই জায়গাটুকু পার হতে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। যাত্রীদের ভিড়।  ছবি: বাংলানিউজবৈশাখী পরিবহনের চালক মহসিন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, গতরাত ১টায় বকশীগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। পৌঁছতে সময় লেগেছে ৮ঘণ্টা, ফিরেছেন বিকেল ৪টায়। অথচ এ সময়ে দুইবার আসা যাওয়া করার কথা। যে কারণে যাত্রীদের জট তৈরি হচ্ছে।

মহাসড়কে জ্যামের কারণে দুর্ভোগের শিকার হলেও বাস টার্মিনালের চিত্র অনেকটাই চমৎকার বলা চলে। অন্যান্য বার টার্মিনালের মুখে যাত্রী ওঠা-নামার কারণে মহাখালী জুড়ে জট তৈরি হলেও এবার পুলিশের ব্যাপক তৎপরতার কারণে এ এলাকা পুরোপুরি জটমুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এসআই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।