ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঈদে রাজধানীতে একপশলা বৃষ্টি!

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
ঈদে রাজধানীতে একপশলা বৃষ্টি! চারিদিকে কালো করা মেঘের এ ছবি সম্প্রতি তোলা/ফাইল ছবি

ঢাকা: ঋতু হিসেবে বর্ষাকাল না হলেও, আবহাওয়ার হিসেবে এখন বর্ষা চলছে। যে কারণে সমুদ্রে এরইমধ্যে কয়েকটি নিন্মচাপের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে সাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে ঈদের দিন সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও একপশলা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। প্রকৃতির এই রূপের কারণে সারাদেশে একেক জায়গায় একেক রকম বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
 
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টিপাত কয়েকদিনের তুলনায় কমে এসেছে। এটি আরো কমবে। ঈদের দিন চট্টগ্রাম ও সিলেটে ভারী বর্ষণ হবে। রংপুরসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বর্ষণ কিছুটা বাড়বে। ঢাকাসহ এসব এলাকায় একপশলা বৃষ্টিপাত হলেও হবে। বর্ষা মৌসুম চলায় বজ্রপাত কিছুটা হবেই। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টায় এই প্রবণতা কমে যাবে।

দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হলেও খুলনা, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে এবং পাশ্ববর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। বাড়বে রাতের তাপমাত্রাও।
 
এদিকে সাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কথাও বলছে আবহাওয়া অফিস। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে সংস্থাটি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাছ ধরা নৌকাগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচলা করতে বলা হয়েছে। আর খুলনা, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে দেখাতে বলা হয়েছে এক নম্বর সতর্ক সংকেত।
 
অতিভারী বৃষ্টির কারণে সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও করা হয়েছে।
 
আবার সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির কারণে অনেক এলাকা মানুষের ঈদের আনন্দ মলিন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানিয়েছেন, দেশের ৭টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাটে বিপদসীমার ১৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, সিলেটে ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, কুশিয়ারার পানি অমলশীদে ১৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, শেওলায় ১১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, শেরপুর-সিলেটে ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

এছাড়া সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাটে বিপদসীমার শূন্য সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনু নদীর পানি মনু রেল ব্রিজে বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার, মৌলভীবাজারে ১৩৬ সেন্টিমিটার, খোয়াই নদীর পানি বাল্লায় ১৪৮ সেন্টিমিটার, হবিগঞ্জে ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ধলাই নদীর পানি কমলগঞ্জে ৫৪ সেন্টিমিটার এবং মাতামহুরী নদীর পানি লামায় বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।