ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পশ্চিমাকাশে কেবল এক ফালি চাঁদের অপেক্ষা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
পশ্চিমাকাশে কেবল এক ফালি চাঁদের অপেক্ষা -

রাজশাহী: যান্ত্রিক শহরে বছরের উৎসব-পার্বণ এখন বিশেষ দিনকেন্দ্রিক। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় অভ্যস্ত হয়ে উঠলেও বছরের অন্য সব উৎসব ও ঈদকে এক কাতারে রাখতে চান না তরুণ-তরুণীরা। ঈদের আনন্দকে তারা ছড়িয়ে দিতে চান সবার মধ্যে। তাই যৌবনের উদ্দামতায় উৎসব-আনন্দকে প্রাণের উচ্ছলতায় বেঁধে ফেলার টানের সুর ওঠে তরুণ কণ্ঠে। 

জীবনকে নতুন রূপে রাঙানোর উৎসব ঈদ। আর সেই ঈদ উপলক্ষে এখন প্রস্তুত তিলোত্তমা নগরী রাজশাহীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো।

ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) থেকেই ফাঁকা হতে শুরু করেছে লোকজনে ঠাসা রাজশাহীর ছোট্ট শহরটি। চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য অনুপস্থিত। ঈদ-উল-ফিতরের টানা ছুটিতে বন্ধ থাকবে অফিস-আদালত। তাই এবার তিনদিন আগে থেকেই রাজশাহী মহানগরীজুড়ে শুরু হয়েছে ঈদের ছুটির আমেজ। আগাম ছুটিতে বাড়ি চলে যাওয়ায় অনেকটা পাল্টে গেছে কোলাহলে ভরা রাজশাহী মহানগরের চেহারা।  

ঈদ-উল-ফিতরের সর্ববৃহৎ এ উৎসবে মহানগরে বসবাসরত এবং রাজধানী ঢাকা থেকে ঈদ উদযাপন করতে যাওয়া মানুষের জন্য এখন প্রস্তুত মহানগরের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। কেবল পশ্চিমাকাশে এক ফালি বাঁকা চাঁদ ওঠার অপেক্ষা। তারপর রাত পোহালেই মানুষের ঢল নামবে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।  

ঈদ উৎসবকে মাথায় রেখে এরইমধ্যে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আধুনিক সাজে সেজেছে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামন কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। আশা করা হচ্ছে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো এ বিনোদন কেন্দ্রটি এবারও রাজশাহীবাসীর সর্বোচ্চ বিনোদনের খোরাক জোগাবে।  

শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান বর্তমানে নয়নাভিরাম ও আধুনিকভাবে সেজেছে। প্রধান ফটকসহ সুদৃশ্য প্রাচীর সবার দৃষ্টি কাড়ছে। প্রধান ফটকের সামনেই চোখে পড়ছে সুদৃশ্য লেকসহ গাড়িপার্ক। এরসঙ্গেই আছে পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা। আর কেন্দ্রীয় উদ্যানের ভেতরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রকৃতিকে অপরূপ সৌন্দর্য ও মানের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাধ্যমত সব প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।  

পশু-পাখির আস্তানাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পশ্চিমে। কংক্রিট, রড, সিমেন্টের টর্চার সেলের বদলে বাঘ, সিংহ, বানর, ভাল্লুক, মায়া হরিণ, গাধা, খরগোশসহ বিভিন্ন পশুরা পাবে এখন থেকে আপন আবাসের মতোই অরণ্যের প্রকৃতি। ছাদবিহীন মাটির মেঝেতে গাছ-গাছালির মধ্যেই তারা বনবাড়ির মতোই থাকবে। সেভাবেই তাদের আবাস কাঠামোগুলো ইতোমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে।  

পাখিবান্ধব এভয়ারি নির্মাণও হয়েছে। নয়নাভিরাম পুকুর ও লেকের পাড় বাঁধায় এরপর পরী সদৃশ ভেনাস দ্বীপ স্থাপন করা হয়েছে লেকের মাঝখানে। নির্মিত হয়েছে দু’টি কার্ভ সেতু। ওয়াকওয়েগুলো করা হয়েছে আরও মনোরম। দক্ষিণের পাহাড়কে নয়নাভিরাম দৃশ্যে নিয়ে এসে তার ওপর ফোয়ারা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। ছোট-বড় সবার জন্য বিনোদনের একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিশুদের চিত্তকে প্রফুল্লকরণের উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছে ফেরিজ হুইল ও চিলড্রেন কর্নার।  

পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশকে মনোরমকরণের উদ্দেশ্যে আরও সবুজের কারুকার্য করা হয়েছে। পুরনো বসার আসনগুলোই টাইলসের মাধ্যমে মানোন্নয়ন করা হয়েছে।  

পিকনিক কর্নারগুলোকে করা হয়েছে অধুনা পদ্ধতিতে উন্নয়ন। আরও রয়েছে নানা চমক। এছাড়া শহীদ জিয়া শিশু পার্কের বিভিন্ন রাইডার, আই ও টি-বাঁধ, শিমলা পার্ক, শহীদ মুনসুর পার্ক, পদ্মা গার্ডেনসহ বিভিন্ন বিনোদন স্পট বিনোদন পিপাসুদের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এসএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।