দেখা গেলো মইগুলো এনে রাখা হচ্ছে ট্রেনের গায়ে। মইগুলো অধিকাংশই আবার নতুন বানানো।
মই সার্ভিসে স্থানীয় যুবকেরা দৈনিক ৫শ থেকে ৬শ টাকা আয় করছেন। ঈদের আগে ও পরে মোট ১০ দিন এই সার্ভিস থেকে আয় করেন তারা।
পুরো ট্রেনের ছাদজুড়ে ঘরমুখো মানুষের সারি। কিন্তু প্ল্যাটফর্মগুলো আয়তনে ছোট। তাই প্ল্যাটফর্মের বাইরে মই দিয়ে নিরাপদে নামছেন দুর্ভোগে পড়া যাত্রীরা।
কথা হয় ট্রেনে মই সার্ভিস দেওয়া আজিজুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, মই দিয়ে ট্রেন থেকে নিচে নামলে ২৫ টাকা। আমরা মানুষকে সহায়তা করছি। তারপরও আমাদের ২০ জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিলো।
ছাদে ভ্রমণ নিরুৎসাহী করতেই মই সার্ভিস হোল্ডারদের সাময়িকভাবে ধরে পুলিশ।
এদিন কমলাপুরে ছিল হাজারও ঘরমুখো মানুষের ঢল। যে কারণে স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রীরা চেপে বসেছেন ট্রেনের ছাদে। একইভাবে প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকলে বিমানবন্দরে অনেকে মই সার্ভিস নিয়ে ট্রেনে ওঠেন। এখানেও গুণতে হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
ফলে যাত্রীদের ট্রেনের ছাদ থেকে নামা ও ওঠার জন্য মই বাবদ ব্যয় করতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের রেল স্টেশনগুলোতে চলছে মই সার্ভিস।
অথচ রেলের টিকিট বিক্রির সময় রেলমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনোভাবেই ছাদে ভ্রমণ করা যাবে না। ছাদে ভ্রমণ ঠেকাতে থাকবে রেল পুলিশ। কিন্তু প্রয়েজনের তাগিদে রেলমন্ত্রীর নির্দেশনা পাত্তা দেয়নি ঘরমুখো মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এমআইএস/এএ