শুক্রবার (১৫ জুন) লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ বেড়েছে সি-বোট ও লঞ্চঘাটে।
বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাটের নৌ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সোলেমান জানান, ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত লঞ্চ রয়েছে চাপ সামাল দিতে।
সি-বোট ঘাট সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য নৌযানের তুলনায় সি-বোট ঘাটে বেশি চাপ পড়েছে। সকালে চাপ কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়তে শুরু করে। ঈদ উপলক্ষে নির্ধারিত ভাড়া ১৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া লাইফ জ্যাকেট পড়েই যাত্রীরা নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে না। এছাড়া মাইকিং করে যাত্রীদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
তবে দুপুর ১টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, ঘাটগুলোতে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে ঠিকই। তবে সেভাবে মানা হচ্ছে না কিছু। দুই ঘাটের প্রবেশমুখে যাত্রীদের দীর্ঘ সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ঘাটে একটি লঞ্চ ভিড়লে যাত্রীরা নামার আগেই গন্তব্যে যাওয়ার যাত্রীরা ওঠার ঝুঁকি নিচ্ছেন।
এছাড়া সি-বোটে যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। নির্দিষ্ট যাত্রীর থেকে বেশি যাত্রী নিয়েই চলছে এসব সি-বোট। এছাড়া লঞ্চেও ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
লঞ্চ ও সি-বোট ঘাটের যাত্রীরা বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে সি-বোট ও লঞ্চে ওঠার জন্য। বেশি যাত্রী থাকায় হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা শরোজিৎ কুমার ঘোষ জানান, যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নৌ-পুলিশ কাজ করছে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাতে ঘাট থেকে নৌযান ছেড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
আরএ