সার্ভিস ও গাড়ির সংখ্যার দিক বিবেচনায় মহাখালী টার্মিনালে এনা পরিবহনই রয়েছে যাত্রীদের পছন্দের শীর্ষে। এনার ময়মনসিংহগামী কাউন্টারের সামনে তাই শুক্রবার (১৫ জুন) দেখা গেলো নারী ও পুরুষের পৃথক লম্বা লাইন।
নারীদের লাইনটি কাউন্টার থেকে শুরু হয়ে শাপের মতো একেবেঁকে তেজগাঁও লিংক রোড ছুঁই ছুঁই করছে। আর পুরুষদের লাইনটি দক্ষিণ কোণে অবস্থিত কাউন্টারের সামনে থেকে টার্মিনালের উত্তরপ্রান্তে গিয়ে ঠেকেছে। এতেই লাইন শেষ হওয়ার নয়। অনেকে লাইনে দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে আশপাশে পেপার কিংবা গামছা বিছিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।
বলা চলে, পুরো মহাখালী বাস টার্মিনাল লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। তবে বিগত দিনের তুলনায় শুক্রবার সকাল থেকে আকাশ অনেকটা মেঘলা বিধায় কিছুটা রক্ষা। গরমের দাপট থেকে নিস্তার পাচ্ছেন যাত্রীরা।
রাজমিস্ত্রির কাজ করেন ময়মনসিংহের কোতয়ালী থানার আজাহার আলী। রাত ৩টায় সেহরি খেয়ে এসে এনা পরিবহনের কাউন্টারের সামনে টিকিটের জন্য দাঁড়িয়েছেন। সকাল পর্যন্ত পাননি। লাইনে এখনও তার সামনে দুই শতাধিক টিকিটপ্রত্যাশী।
রাত আড়াইটার দিকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন শিউলী বেগম। তার সামনে এখনও জনা বিশেক নারী। টিকিট না পেলেও মোটামুটি কাউন্টারের কাছাকাছি আসতেই চার চোখে-মুখে প্রশান্তির ছায়া। আর দু’টি গাড়ি এলেই তিনি টিকেট পেয়ে যাবেন বলে আশা করছেন।
এনা পরিবহন গাড়ি এলেই টিকিট দিচ্ছে। এরমধ্যে নারী অর্ধেক পুরুষ লাইন থেকে অর্ধেক। পরিবহনের ড্রাইভার সোহেল বাংলানিউজকে জানান, অন্য সময়ে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ময়মনসিংহ পৌঁছে যাই। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টায় রওয়ানা দিয়ে রাত ১২টায় পৌঁছেছি। তাহলে বুঝতে পারছেন রাস্তার কী অবস্থা।
ভোর রাতে ফেরার সময় গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত জ্যাম দেখে এসেছেন জানিয়ে সোহেল বলেন, ঈদ উপলক্ষে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান বন্ধ করার কথা ছিলো। কিন্তু সেগুলো দেদারছে চলছে। এর পাশাপাশি গাজীপুর চৌরাস্তায় ড্রেনের নির্মাণ কাজের কারণে যানজট তৈরি হয়েছে।
এনার পাশাপাশি সৌখিন পরিবহন, আলম এশিয়া, শামলী বাংলা ও ইমাম পরিবহনের কাউন্টারের সামনেও যাত্রীদের ভিড়। এনা নির্ধারিত দামে টিকিট বিক্রি করলেও সৌখিন, ইমাম পরিবহন ও শ্যামলী বাংলার বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এসআই/এইচএ/