ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) দিনগত রাত সোয়া ১টার দিকে নদী পারের অপেক্ষায় থাকা বাসের সারি পাটুরিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে তিন কিলোমিটার এলাকা ছাড়িয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দর্শনা ডিলাক্স পরিবহনের যাত্রী আলীমুল হক বাংলানিউজকে জানান, মহাসড়কের নবীনগর থেকে গাড়িটি ধীরগতিতে চলতে শুরু করে। কালামপুর থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত স্বাভাবিক গতিতে এলেও ঘাট এলাকায় আটকে রয়েছে প্রায় ঘণ্টা খানেক। এতে কখন নদী পার হতে পারবেন তা নিয়ে চিন্তিত তিনি।
সোহাগ পরিবহনের যাত্রী আফিফুন নাহার জেসি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে ঘাট পার হওয়ার অপেক্ষায় আছি। পরিবার পরিজন নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। ধীর গতিতে ঘাটের দিকে এগুচ্ছে বাস। নদী পার হতে কতো সময় লাগে কে জানে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাটের দায়িত্বরত উপ পরিদর্শক (এসআই) মুকতার হোসেন জানান, রাতে যানবাহনের চাপ এক সঙ্গে বেড়ে গেছে। এছাড়া ফেরিঘাটের চার নম্বর পন্টুন এলাকায় একটি ট্রাক আটকে যায়। পরে রেকারের সাহায্যে ওই ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে ঘাট এলাকায় আড়াই শতাধিক বাস আটকা পড়ে।
তবে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির লাইন তেমন দীর্ঘ নয় বলে জানান তিনি।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৯টি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
কেএসএইচ/এসআই