সেখানকার কেয়া কসমেটিকস নামক একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন দু’জন।
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাবেন গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাস টার্মিনালটিতে আলাপ হচ্ছিল তাদের সঙ্গে। মূলত ড্রিমল্যান্ড সার্ভিসের মতো লোকাল এ সার্ভিসগুলোতে গার্মেন্টস ছুটি হওয়া শ্রমজীবী মানুষ ফিরছেন।
যানজট নিয়ে তাদের কণ্ঠে কোনো অভিযোগ না থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই।
গাজীপুরে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন গৌরীপুরের নুরুল ইসলাম (৪৫)। খুশিমুখে তিনি জানান, গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত কোনো যানজট নেই। এখানে যানবাহন চলাচল একেবারেই স্বাভাবিক।
এ যাত্রীর কথার সঙ্গে যোগ করে কামরুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী বলেন, মহাসড়কে যানজটে গাড়ি থেমে থেমে চলে। আবার কোথাও চলে ধীরগতিতে। প্রতিবার এমনই থাকে দৃশ্য। এবারও বাড়তি গাড়ির চাপ আছে ঠিকই। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মেই যানবাহন চলছে। বিশেষ করে গাজীপুর থেকে ময়মনসিংহে আমরা এলাম কোনো যানজট ছাড়াই। কী যে স্বস্তি লাগছে। প্রতি ঈদেই মহাসড়ক এমন হওয়া উচিৎ।
তবে এ বাস সার্ভিসের হেল্পার আশরাফুল আলম (৩৫) বাংলানিউজকে জানান, ‘ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে যাইবার পথে জ্যাম নাই আপাতত। তবে ঢাকায় যাইতে যতো জ্যাম। রাজেন্দ্রপুর, পোড়াবাড়ি, শালনা থেইক্যা এই জ্যাম শুরু। ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লাইগ্যা (লেগে) যায় ঢাকায় যাইতে। ’
বাসের এ হেল্পারের সঙ্গে সহমত পোষণ করে এই মহাসড়কে নিয়মিত চলাচল করা সৌখিন পরিবহনের চালক সোহাগ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ময়মনসিংহে আসতে এক গাজীপুরের চৌরাস্তার যানজট ছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই। তবে খুবই দুর্ভোগ-ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে।
গাজীপুর থেকে আসা নুরুল ইসলাম, কামরুল ইসলামদের পরিবারের ছয় সদস্য বাসযাত্রা শেষে মাসকান্দা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে নেমে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চেপে যাচ্ছেন নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড় বাসস্ট্যান্ডে।
সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষারত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জেনে নিলেন সড়কচিত্র।
ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জের এ মহাসড়কটির ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে পরিচিত পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে যানবাহনের চাপ থাকলেও ঈদযাত্রা স্বস্তিকর। গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটিতেও যানজট নেই।
তবে নুরুল ইসলাম, কামরুল ইসলামদের সঙ্গে থাকা দুই যাত্রী সোমা ও নীলুফা অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নামসর্বস্ব বাস সার্ভিসগুলো যথেচ্ছ ভাড়া নিচ্ছে। সিট ছাড়াও বাসের ভেতরে মোড়া বসিয়ে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। সিট ভাড়ার মতো মোড়ায় সিটের ভাড়া প্রায় সমান আদায় করা হচ্ছে। এ বিষয়ে অ্যাকশন প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
এমএএএম/আরআর