ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ভোলায় নেই স্পেশাল সার্ভিস, ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
ভোলায় নেই স্পেশাল সার্ভিস, ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি ভোলায় ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি

ভোলা: ভোলার লঞ্চ ও ফেরিঘাটগুলোতে ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঈদ উপলক্ষে বিশেষ সার্ভিস চালু না থাকায় ধারন ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবহন, বেশি ভাড়া আদায় এবং নির্ধারিত সময়ে চেয়ে দেরি করে ঘাটে ভিড়ছে লঞ্চগুলো।

এতে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো লাভ হয়না যাত্রীদের।

যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ঘাটগুলোতে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহল টিম থাকলেও যাত্রীসেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

তবুও শত ভোগান্তির উপেক্ষা করে পরিবারে সঙ্গে ঈদে সময় কাটাতে বাড়িতে আসতে পেরে খুশি অনেকেই।

জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার সঙ্গে দ্বীপজেলা ভোলার যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম হচ্ছেন নৌপথ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) হিসাব অনুযায়ী জেলার ১৭টি নৌপথ দিয়ে ঈদ উপলক্ষ্যে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষ ঘরমুখী হয়ে থাকে। আর তাই একমাত্র নৌপথেই ভোলায় আসতে হচ্ছে তাদের।  
ভোলায় ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি
তবে ঈদ উপলক্ষ্যে এ নৌপথে বিশেষ কোনা সার্ভিস চালু হয়নি। প্রায় ২০টি লঞ্চ দিয়েই ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও ভোলা-ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে আসছেন এসব যাত্রীরা। কিন্তু নৌযান সংকটের কারণে অতিরিক্ত বোঝাই হয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের আসতে হচ্ছে।  

চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসের কর্মী জোসনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, পুরো পথেই ভোগান্তি ছিলো। বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর থেকে ভোলা আসতে সি-ট্রাকে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

ঢাকা থেকে ইলিশা ঘাটে আসা নাজিম উদ্দিন, মোস্তফা কামাল, আওলাদ হোসেনসহ একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ঈদের আগে লঞ্চের ভাড়া ছিলো ১০০ টাকা, কিন্তু সেখানে নেওয়া হচ্ছে ২৫০ টাকা। লঞ্চ ছাড়ার আগে বাড়তি ভাড়ার বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি।

যাত্রীদের অভিযোগ একদিকে অতিরিক্ত ভাড়া অন্যদিকে ধারন ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো চলছে। এ রুটে আরও লঞ্চ দেওয়া হলে এমন সমস্যা হতো না। তবে অনেক যাত্রী আবার শত ভোগান্তি উপেক্ষা করে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পেরে বেশ খুশি দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানান, খরচ পুষিয়ে নিতে কিছু অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তাছাড়া নদীতে স্রোতের কারণে নৌযানের ধীর গতি হচ্ছে।

এমভি তাসরিফ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছি না। ঈদের সময় ঢাকা থেকে লঞ্চ এক রাউন্ড চলে বিধায় ২২০ টাকার স্থলে ২৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
ভোলায় ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি
ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের সি-ট্রাক সুপারভাইজার এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, নদীর স্রোত একটু বেশি থাকায় সময় কিছুটা বেশি লাগছে। তবে যাত্রীদের ভোগান্তি নেই।  

বিআইডব্লিউটিএ পরিদর্শক মো. নাসিম বাংলানিউজকে বলেন, ভোলার সাত উপজেলার ১৭টি নৌপথে ভোলা-ঢাকার রুটের ৮টি বড় লঞ্চসহ ২২-২৩টি লঞ্চ চলছে। ঈদে আপাতত স্পেশাল সার্ভিস চালু করা হয়নি। কিন্তু যাত্রী চাপ আরও বেড়ে গেলে স্পেশাল সার্ভিস চালু হবে।  

ঈদে যাত্রীরা যেন নির্বিগ্নে ঘরে ফিরতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদেক্ষপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুর-ই আলম ছিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া কিংবা যাত্রীবহনের কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে এখনো আসেনি। আভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।