ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শেষবেলায় জমেছে আতর-টুপি-সুরমার বাজার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
শেষবেলায় জমেছে আতর-টুপি-সুরমার বাজার জমে উঠেছে টুপির দোকান

রাজশাহী: আগামীকাল শুক্রবার (১৫ জুন) চাঁদ দেখা গেলে শনিবার (১৬ জুন) ঈদ। শেষবেলায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর আতর, টুপি ও সুরমার বাজার। 

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) কাকডাকা ভোর থেকে চলছে বিকিকিনি। প্রতিটি দোকানের সামনেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।

কেউ পরখ করে দেখছেন, কেউ কিনছেন। কারোরই যেন দম ফেলার ফুরসত নেই।  

ঈদ উৎসবের আনন্দকে রাঙিয়ে তুলতে এরইমধ্যে নতুন পোশাক কেনা শেষ। এখন সবাই ভিড় জমাচ্ছেন আতর, টুপি, সুরমা আর জায়নামাজের দোকানে।  

জমে উঠেছে আতরের দোকানআতর, টুপি আর জায়নামাজের পাশাপাশি নামাজের জন্য তসবিহও কিনছেন অনেকে। সব বয়সের ক্রেতার চাহিদাকে মাথায় রেখে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি পণ্য দিয়ে নিজেদের সম্ভার সাজিয়েছেন মহানগরীর দোকানিরা। সবাইকে স্বতন্ত্র পণ্যটি দিতে চাইছেন তারা।

রাজশাহী মহানগরীর বড় বড় বিপণীবিতান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়কের পাশের ফুটপাতের দোকানে তাই এখন আতর-টুপি কেনার ভিড়। বিশেষ করে মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, আরডিএ মার্কেট ও নিউমার্কেটের বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ঈদের নামাজের এই প্রধান দুই অনুষঙ্গ।

এবারের ঈদে নামাজের জন্য আকর্ষণীয় নকশার টুপির প্রতি ক্রেতাদের বেশি আকর্ষণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মান ভালো হওয়ায় নকশা ও কারুকার্যের দেশি টুপির চেয়ে বিদেশি টুপি বেশি কিনছেন ক্রেতারা। তাই রকমারি সব ডিজাইনের টুপির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফুটপাতের দোকানিরা।  

এগুলোর দাম জানতে চাইলে সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টের পাশের ফুটপাতের ব্যবসায়ী সিকদার জরি হাউজ ও আতর হাউজের মালিক রকি সিকদার বাংলানিউজকে জানান, বিভিন্ন রকমের টুপি ৫০ থেকে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে তার দোকানে। এছাড়া গুজরাটি টুপি পাওয়া যাচ্ছে ২শ’ থেকে ২শ’ ৫০ টাকার মধ্যে। জর্ডানি টুপি ১শ’ ৫০ টাকা, পাকিস্তানি টুপি ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা, নেপালি টুপি ২শ’ ৫০ টাকা এবং সৌদি আরবের টুপি ৪শ’ থেকে ৭শ’ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে তার দোকানে।  

এদিকে, রাজশাহী রফিক আতর হাউজের মালিক রফিকুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ-উল-ফিতরের প্রথম আকর্ষণ হচ্ছে ঈদের জামাত। আর ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার জন্য প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে সুগন্ধী আতর। ঈদের দিন মন মাতানো সুরভিতে চারপাশ ফুরফুরে করতে আতরের বিকল্প নেই। সব কেনাকাটার শেষেই ভিড় বাড়ে আতরের দোকানে। তাই এখন আতরের চাহিদাই বেশি।  

রফিকুল্লাহ জানান, এবারে দেশি আতরের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দের প্রথমেই রয়েছে মদিনা এবং তিব্বত আতর। তারপর রয়েছে চন্দন, ফেরদৌস, রাজ দরবার ও শাহী দরবার। এগুলো সর্বনিম্ন ৩০ থেকে ১শ’ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। সৌদি এবং দুবাইয়ের আতর সিফাত, সাফিনা, লামহা, রওজ, ব্লু মুন, মুকাম্মাল, মারওয়া, জমজম, আরফে জোহরা এবং মুকাদ্দাস পাওয়া যাচ্ছে ১শ’ থেকে ৫শ’ টাকায়।

এক প্রশ্নের জবাবে আতর ব্যবসায়ী রফিকুল্লাহ বলেন, তার দোকানে একসঙ্গে আতর, টুপি ও সুরমার প্যাকেজও রয়েছে। কেউ চাইলে মাত্র ২শ’ ৫০ টাকার মধ্যে পুরো এই প্যাকেজ নিতে পারছেন। আগামীকাল চাঁদ রাত হলে সারারাতই তার আতরের দোকান খোলা থাকবে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
এসএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad