এছাড়া অন্য ট্রেনগুলো ২০ থেকে ২৫ মিনিট দেরিতে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে এসে পৌঁছালেও তাকে স্বাভাবিকই বলছেন স্টেশন মাস্টার মরন চন্দ্র।
**সিডিউল বিপর্যয়, শঙ্কায় ঈদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীরা
তিনি জানান, সবচেয়ে বেশি ৪ ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরিতে লালমনিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে লালমনি এক্সপ্রেস।
সকাল থেকেই বিমানবন্দর স্টেশনে ছিলো ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ ও সিলেটগামী ট্রেনগুলোতে ছিলো না তিল ধারণের ঠাঁই। ঢিলেঢালাভাবে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনগুলো ছেড়ে আসলেও বিমানবন্দর স্টেশনে সেই ট্রেনগুলোর ভেতর ও বাইরে স্বস্তিতে নড়বার কোনো সুযোগ ছিলো না। তবু ছাদ বা পাদানিতে একটু সুযোগ পাওয়াটাকেই যেন বড় মনে করছেন প্রিয়জনের টানে ঘরে ফিরতে চাওয়া মানুষগুলো। এজন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হচ্ছেন না তারা। ট্রেনের ছাদে চড়া বেআইনি হলেও এ আইন ভাঙাটাকেও যেন সৌভাগ্য মনে করছেন তারা।
বিশেষ করে জামালপুর, উত্তরবঙ্গ, সিলেটগামী ট্রেনগুলোর ক্ষেত্রে এমনটা দেখা গেছে। তবে নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের ট্রেনগুলোতে ভিড় ছিলো তুলনামূলক কম।
ছাদে যাত্রী ওঠা নিয়ে স্টেশন মাস্টার মরন চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আনসার, রেল পুলিশ, পুলিশ দিয়ে কড়া নজরদারি করছি। কিন্তু এতো যাত্রী সামলানোর সক্ষমতা আমাদের নেই। এক্ষেত্রে যাত্রীদেরকেই সচেতন হতে হবে। কারণ জীবন তার আর ভোগান্তিটাও তার পরিবারের।
দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেসে স্টান্ডিং টিকিট কিনেছেন বিরলের রুহুল আমিন। ট্রেনের ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে তিনি ওভারব্রিজের ওপর দিয়ে তিনি তারকাটা পেরিয়ে অন্যদের সহায়তায় ছাদে জায়গা করে নিলেন। এসময় পাশেই দাঁড়ানো ছিলেন রেলওয়ে পুলিশের এক সদস্য। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ঈদের যাত্রীদের মানা করে কোনো লাভ হয় না। সরল পথে বাধা পেলে তারা কঠিন পথে গিয়ে আরও বেশি ঝুঁকি নেন। তাই চেয়ে দেখা ছাড়া তেমন কিছু করার থাকে না।
এদিকে দুপুরের দিকে ভিড় একটু কমে এসেছে। তবে স্টেশন মাস্টারের ধারণা দুপুরের পর থেকে আবার ঢল নামবে ঘরমুখো মানুষের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
আরএম/আরআর