ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত  বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের। ধসে পড়েছে বহু কাঁচা ঘর-বাড়ি।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) দুপুরে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামের স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাহেব আলী মোল্লার বাড়ি ও বিছট জামে মসজিদ পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে জোয়ারের তোরে হঠাৎ বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে।

এর পরপরই সাহেব আলী মোল্লার বাড়ি ও বিছট জামে মসজিদ পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে ইউনিয়নের বল্লবপুর, আনুলিয়া, বিছট, ঘরালি, নয়াখালি গ্রামসহ আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে এসব গ্রামের অসংখ্য মাছের ঘের। বিছট জামে মসজিদ বর্তমানে নদীর মধ্যে রয়েছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় আনুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়া এখনো হু হু করে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। দু’দিন পরেই ঈদ কী হবে বলতে পারছি না।
বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) বারবার বলা সত্ত্বেও তারা জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এখন মরতে হবে আমাদের। জোয়ার নেমে গেলে এলাকাবাসীকে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।  

এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাফফারা তাসনীন বাংলানিউজকে বলেন, সংশ্লিষ্টদের দ্রুত রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। বাঁধ সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এসও মশিউল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা সংস্কারে রিং বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। জোয়ারের জন্য একটু সমস্যা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত কাজ শেষ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।