বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) ওই বাস টার্মিনালে দেখা যায় নগরবাসীদের উপচেপড়া ভিড়। টার্মিনালের আনাচে-কানাচে দাঁড়িয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন হাজার হাজার বাড়িমুখো মানুষ।
যাত্রী বিশ্রামাগারে বসে আছেন সাগর। বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় সাগরের। তিনি জানান, তিনি ঈগল পরিবহনে করে ঝালকাঠিতে যাবেন। র্দীঘদিন পর বাড়ি যাচ্ছেন তিনি। বাড়ির যাওয়ার খুশিতে বাসায় আর থাকতে না পেরে একটু আগেই টার্মিনালে চলে এসেছেন। নিলুফা ঢাকাতে বিসিএস কোচিং করেন। জেআর পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। যাবেন মেহেরপুর জেলায়। তিনি বলেন, পড়াশোনার চাপে অনেকদিন বাড়ি যেতে পারিনি। ঈদ করতে যাচ্ছি। এটা ভেবে খুব ভালো লাগছে। বাড়ি যাবো পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবো এর চেয়ে আনন্দ আর কি হতে পারে। বাড়ি যাওয়ার জন্য গাবতলীতে আসা।
হাফিজা নামে অপর আরেক যাত্রী বলেন, প্রতিবছরই পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করি। তাই এবারও বাড়ি যাচ্ছি। তবে রাস্তায় যানজট না থাকলে ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে দেবে কয়েজগুন। আগেই বাড়ি যেতে পারবো, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারবো।
এদিকে যাত্রীদের নির্দিষ্ট গাড়িতে পৌঁছে দিতে যেনো হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবহন কাউন্টার মাস্টারদের।
শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার রাজিব বাংলানিউজকে বলেন, বছরের অন্য সময়ে চাপ না থাকলেও ঈদের আগ মুহুতে যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়। এখন যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি থাকায় তাদেরকে ডাকা-ডাকিও বেশি করা লাগে। এ সময় আমাদের একটু বেশি সচেতন হতে হয়। না হলে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
ইএআর/এএটি