বুধবার (১৩ জুন) সন্ধ্যার পর কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কলিকোনা ও শিকরা হাজিপুর ইউনিয়নের মন্দিরা এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে ভাঙন কবলিত এলাকার আশপাশের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে মনু প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনের ফলে নদী তীরের এলাকাগুলো ছাড়িয়ে দূরবর্তী এলাকাগুলোতে পানি ছড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে কুলাউড়া-শমশের নগর সংযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ক্রমাগত পানি বৃদ্ধি ও ভাঙনের ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিয়েছে।
পাউবো সূত্রে জানা যায়, সারাদিন মনু নদের পানি বিপদসীমার ১৮০ সেন্টিমিটার উপরে থাকলেও রাত ৯টার পর তা ১৫ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১৬৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। একই ভাবে ধলাই নদের পানি বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপরে থাকলেও রাত ৯টার পর ৩৪ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় পানি কমছে না বাড়ছে তা বোঝা কঠিন। পাউবোর কর্মকর্তারা বলছেন পানি প্লাবিত হওয়ায় নদীর উচ্চতা কমতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবা) নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বাংলানিউনিউকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। নদের ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ করে আশপাশ তলিয়ে গেছে। আমাদের হিসেব বলছে পানি কমেছে। তবে সকাল না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। উজানের ঢল কমলে পানির সঠিক হিসাব পাওয়া যাবে। এখন আশপাশে পানি ছড়িয়ে যাওয়াতে নদের উচ্চতা কম দেখাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
আরএ