ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হলো পাহাড়ে বসবাসকারীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হলো পাহাড়ে বসবাসকারীদের বাম থেকে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে মাইকিং ও সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে

কক্সবাজার: টানা বর্ষণে কক্সবাজারে পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। এমন শংকা থেকে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

বুধবার (১৩ জুন) রাতে কক্সবাজার পৌরসভার ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ ও ১২ নং ওয়ার্ডে পাহাড়ে বসবাসরতদের ঝুঁকিপূর্ণ তিন শতাধিক পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সেলিম শেখ বাংলানিউজকে বলেন, ৯ জুন থেকে কক্সবাজারে টানা বর্ষণ চলছে।

গড়ে ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ কারণে পাহাড় ধসের শংকা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, পাহাড় ধসে যাতে হতাহতের ঘটনা না ঘটে সেজন্য ৯ জুন থেকেই প্রশাসন সতর্কাবস্থানে ছিল। বার বার গণবিজ্ঞপ্তি এবং মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যায়নি। তাই বুধবার রাতে তাদের অভিযান চালিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিম উদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে অভিযানটি চালানো হয়।

সরিয়ে নেওয়াদের দেখতে যান জেলা প্রশাসকমো. কামাল হোসেনঅভিযানে বিজিবি ক্যাম্প, পল্লন কাটা, সাহিত্যিকা পল্লী, সবুজ বাগ, পাহাড়তলী, ইসলামপুর, বাঁচামিয়ার ঘোনা, বাদশাঘোনা, ঘোনারপাড়া বৈদ্যঘোনা, মোহাজের পাড়া, ডিসি পাহাড়, লাইট হাউজ ও কলাতলীসহ শহরের পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী প্রায় ২ হাজার নারী পুরুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তাদের জন্য স্ব স্ব এলাকায় অবস্থিত প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিক স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয়গ্রহণকারীদের দেখতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, যারা বেশি ঝুঁকিতে ছিল তাদের নিরাপদ স্থানে আনা হয়েছে। সেখানে তাদের জন্য ইফতার ও সেহেরির জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং শিশু খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

 বাংলাদেশ সময়: ০২২৯ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮

টিটি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad