বুধবার (১৩ জুন) দুপুর থেকে বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি রাঙামাটি সড়কের যান চলাচল।
এরআগে, বন্যার কারণে সোমবার (১১ জুন) থেকে বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে মঙ্গলবার (১২ জুন) বিকেল থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়ক ডুবে যাওয়ায় সারাদেশের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচল। এছাড়া সকাল থেকে বান্দরবান-ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে রাঙ্গামাটির সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। এছাড়া রুমা উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বান্দরবান পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু দাশ বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের বিভিন্ন প্লাবিত জায়গা থেকে পানি নেমে গিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে যান চলাচল। অন্যদিকে ভারি বর্ষণের কারণে জেলা শহর ও আশেপাশের কয়েকটি এলাকায় ছোটখাট পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লামা উপজেলা বাজারে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। এরফলে লামা উপজেলায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত তিনদিন থেকে বান্দরবান শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনদের সরে যেতে প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। তাছাড়া জেলার সাতটি উপজেলায় সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আসলাম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বর্ষা মৌসুমে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের জন্য ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদ ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
এসআরএস