শবে-কদরের সরকারি ছুটির দিন বুধবার (১৩ জুন) বিকেলে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেখা গেলো দক্ষিণাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের ভিড়। ভিড়ের কারণে ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকা থেকেই ব্যাপক যানজটের তৈরি হয়েছে।
ভিড়ে থাকা লঞ্চের পন্টুনগুলোতে মানুষের পা ফেলার জায়গা নেই। নির্দিষ্ট গন্তব্যের লঞ্চে উঠছেন মানুষ। লঞ্চে যাত্রীরা টিকিটও পাচ্ছেন সহজে। বিভিন্ন লঞ্চ থেকে টিকিট এবং কেবিনের জন্য হাঁক ডাক দিচ্ছেন লঞ্চের স্টাফরা।
এমভি টিপু-১২ লঞ্চের কেবিন বয় এবং স্টাফরা পন্টুনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের ডাকছেন, সিট আছে, কেবিন লাগবে? আল আমিন নামের ওই লঞ্চের এক স্টাফ জানালেন, লঞ্চের টাইম-টেবিল নাই। লোড হলেই লঞ্চ ছাড়বে।
একই চিত্র দেখা যায় আরো কয়েকটি লঞ্চে। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়াগামী একটি লঞ্চের যাত্রী জাফর বলেন, ছোটখাট লঞ্চে টিকিট লাগে না। উঠলেই হয়। বিকালের দিকে কয়েকটি লঞ্চ ছাড়লেও সন্ধ্যার পর প্রায় সবগুলো একসঙ্গে ছাড়বে বলে জানা গেছে।
যাত্রীরা লঞ্চের উঠার মধ্যেই বিকাল পাঁচটার দিকে সদরঘাট ছাড়ে মানিক-৯ ও ফারহান-৪। লঞ্চ দুটিতে যাত্রী ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। তবে ফিটনেস ছাড়া লঞ্চ চলাচল রোধ এবং অতিরিক্ত যাত্রী যাতে না উঠানো হয় সেজন্য টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ অভিযান চালাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের আগের একদিন থেকে লঞ্চে ভিড় আরো বড়েবে। বৃহস্পতিবার শেষ কর্ম দিবসের পর ঘরমুখো মানুষের ঢল নামবে লঞ্চ টার্মিনালে।
যাত্রী হয়রানি রোধে নৌপুলিশ টহল অব্যাহত রেখেছে। আর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মাইকে যাত্রী এবং লঞ্চগুলোকে সতর্ক করা হচ্ছে।
এদিকে, নৌ চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সদরঘাট টার্মনাল কর্তৃপক্ষ এবং বিআইডব্লিউটিএ বুধবার বিকেলে বৈঠকে বসে। সেখানে নৌ-নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়।
অন্যদিকে, ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে হকার এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা হরেক পণ্য নিয়ে ভিড় জমিয়েছে সদরঘাট ও এর আশপাশে। পন্টুনের নিচেও ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় করে বিভিন্ন ফলমূল বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
এমআইএইচ/এমএ