ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, পাহাড় ধস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, পাহাড় ধস

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। থেমেছে টানা বৃষ্টি। জেলার চেঙ্গী, মাঈনী নদীর পানি কমতে থাকায় বন্যা কবলিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে অনেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে দীঘিনালা রামগড় উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
 

এদিকে জেলার আলুটিলা, সবুজবাগ, শালবন, কুমিল্লাটিলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। এতে প্রাণহানি না হলেও ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে।

মূলত পাহাড় কাটা এবং পাহাড়ের পাদদেশে ঘরগুলোতে ধস নেমেছে।  
 
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (১৩ জুন) সকালে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সদর জোন কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটিএম কাউছার হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ শাহ আলম, পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম, কাউন্সিলর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপরা কমিটি রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বৈঠক থেকে জানানো হয়, খাগড়াছড়ি জেলা সদর, মহালছড়ি, দীঘিনালা, পানছড়ি ও রামগড়সহ মোট ৫টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। উপজেলাগুলোতে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোট ৪৮টি কেন্দ্রে ১৮শ’ ৯৭ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রিতদের জন্য ১৫৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্ধ, ৬টি উদ্ধারকারী বোট, ৩টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের জন্য বলা হবে।
 
বৈঠক থেকে ছড়া, খাল দখল উচ্ছেদ, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
 
গত সোমবার রাত থেকে পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলা সদরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা,  জুন ১৩, ২০১৮
এডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।