এদিকে জেলার আলুটিলা, সবুজবাগ, শালবন, কুমিল্লাটিলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। এতে প্রাণহানি না হলেও ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (১৩ জুন) সকালে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সদর জোন কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এটিএম কাউছার হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ শাহ আলম, পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম, কাউন্সিলর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপরা কমিটি রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক থেকে জানানো হয়, খাগড়াছড়ি জেলা সদর, মহালছড়ি, দীঘিনালা, পানছড়ি ও রামগড়সহ মোট ৫টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। উপজেলাগুলোতে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোট ৪৮টি কেন্দ্রে ১৮শ’ ৯৭ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রিতদের জন্য ১৫৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্ধ, ৬টি উদ্ধারকারী বোট, ৩টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের জন্য বলা হবে।
বৈঠক থেকে ছড়া, খাল দখল উচ্ছেদ, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত সোমবার রাত থেকে পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলা সদরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
এডি/জেডএস