একদিকে বানের টানে ভেসে গেছে হাজারো আশ্রয়কেন্দ্র, পানিতে প্লাবিত হয়েছে ক্যাম্পে পর ক্যাম্প। অন্যদিকে ভূমিধসে বিপর্যস্ত অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি।
এবিষয়ে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সাইট পরিচালনা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধস, পানিতে ক্যাম্প তলিয়ে যাওয়া, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া, বানের স্রোতে আশ্রয়কেন্দ্র ভেসে যাওয়া, বজ্রপাতসহ গত পাঁচদিনে শতাধিক ঘটনা ঘটেছে। এতে রোহিঙ্গাদের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সূত্র জানায়, শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফে গড়ে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গার জনজীবন। তবে বৃষ্টিপাতে যে ক্ষতি হয়েছে তা এখনও অফিসিয়ালি প্রকাশ করা হয়নি।
কিন্তু আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাদানকারী সংস্থা (রেডক্রস) ও স্বেচ্ছসেবী সংস্থা রেডক্রিসেন্ট কর্মীসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভারী বর্ষণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু এলাকা বর্তমানে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
পানিতে তলিয়ে গেছে কুতুপালং ৫ ও ৬ বালুখালী ১ এবং ২ এর ক্যাম্পে অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্র। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিতে নড়বড়ে হয়ে থাকা পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে ভূমিধস হয়। এরমধ্যে কুতুপালংয়ে পাহাড় ধসে এক শিশু নিহত হয়। ওইসময় তার মা আহত হন। এছাড়া ১৩ জুন সকালে শফিউল্লাহ কাটায় পাহাড়ধসে ৪ জন আহত হয়েছেন।
এবিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজের (আইএফআরসি) কক্সবাজার উপ-অফিসের প্রধান সঞ্জীব কাফে বাংলানিউজকে বলেন, গত ৯ জুন থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে গড়ে ১৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ৬ লাখ ৯৩ হাজার রোহিঙ্গার স্বাভাবিক জীবন। টয়লেট ও খাবার পানির সংকটে জীবনযাপন করছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, বানের পানির সঙ্গে ময়ল ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এককার হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সে কারণে ক্যাম্পগুলোতে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এটি উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
টিটি/ওএইচ/