মঙ্গলবার (১২ জুন) সকালে বাড়ি যাবার উদ্দেশে তারা এসেছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনের বিষয়ে জানতে চান এ প্রতিবেদকের কাছে।
তাদের সবার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। তৃতীয় লিঙ্গের হওয়ায় তারা পরিবার থেকে আলাদা। এখন থাকেন রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায়। পরিবার থেকে আলাদা থাকলেও এখনো পরিবারের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের কোনো অবনতি হয়নি। বিভিন্ন উৎসব এলেই তারা পরিবার থেকে দাওয়াত পান। নিজেদেরও কিছুটা ব্যস্ততা থাকে। এর মধ্যে সময়-সুযোগ হলেই ছুটে যান নাড়ির টানে বাড়ির দিকে।
সোহানার বাড়ি কিশোরগঞ্জের সরারচরে। তার বাবা-মা এখনও বেঁচে আছেন। দুই ভাই এক বোন রয়েছে তার। সবাই বিবাহিত। থাকেন যে যার মতো করে। ঈদ বা বিভিন্ন উৎসব এলেই সোহানা পরিবারের জন্য কেনাকাটা করে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ নিয়ে যান।
এবার ঈদে কি কিনেছেন জানতে চাইলে সোহানা বলেন, বাবা-মার জন্য শাড়ি ও লুঙ্গি কিনেছি। অন্যদের জন্য কিছু কসমেটিকস কিনেছি।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, খুবই ভালো লাগে যখন ঈদ আসে। ঈদ এলে আমি বাড়ি যাই, মায়ের হাতে তৈরি পিঠা খাই। এটা খুব আনন্দের।
শিউলির বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলে। তিনি বলেন, আমার বাবা-মা দু’জনই অসুস্থ। তাদের জন্য শাড়ি-লুঙ্গি কিনেছি। অন্যদের জন্য কিছু কসমেটিকস নিয়েছি। এগুলো নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। গ্রামে গিয়ে আরো কিছু জিনিস কিনবো।
শিউলি বলেন, এক সঙ্গে কয়েকদিন থেকে আবার ঢাকায় চলে আসবো। খুব আনন্দ লাগছে। সবাই মিলে থাকবো, খাবো, আনন্দ করবো। তাছাড়া ট্রেনে বাড়ি যাচ্ছি এটাওতো কম আনন্দের না।
জুনাকি বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাবা-মা বেঁচে নেই তবে ভাই আছে। তার জন্য পাঞ্জাবি-পায়জামা কিনেছি। ঈদ উপলক্ষে সেমাই, চিনি, কসমেটিকস নিয়ে যাচ্ছি। চার দিনের জন্য বাড়ি যাচ্ছি, খুব আনন্দ লাগছে। ঈদের পরের দিন আবার ঢাকায় ফিরবো।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
ইএআর/আরবি/