শুক্রবার (৮ জুন) স্থানীয় সময় রাতে লা সেটাডেল দি কুইবেকে জি-সেভেন আউটরিচ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সম্মানে এ নৈশভোজের আয়োজন করেন কানাডার গভর্নর।
ব্রিটিশ রানির প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী গভর্নর জেনারেলই কানাডার রাষ্ট্রপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৈশভোজে অংশ নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ভিয়েতনামেরপ্রধানমন্ত্রী নগুয়েন জুয়ান ফুক, হাইতির প্রেসিডেন্ট ও ক্যারাবিয়ান কমিউনিটির চেয়ারপারসন জোভেনাশ মইসসহ অন্য অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
কানাডার গভর্নরের দেওয়া এ নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ জুন) বেলা ২টায় এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে শেখ হাসিনা কুইবেক সিটির জিন লিসাজ বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজানুর রহমান। এ সময় কানাডা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে দুবাই ও টরেন্টোতে যাত্রাবিরতি দিয়ে কুইবেক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
সফরে কুইবেক সিটির হোটেল চাতিউ ফ্রন্তেনায় থাকছেন প্রধানমন্ত্রী। জি-সেভেন আউটরিচ সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে ২০১৬ সালে জাপানে ও ২০০১ সালে ইতালিতে জি সেভেন আউটরিচ সম্মেলনে যোগ দেন। কানাডা ছাড়া জি সেভেনের বাকি ছয় সদস্য দেশ হলো ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
এবারের আউটরিচ সম্মেলনে সমুদ্রকে দূষণ থেকে রক্ষা করা ও উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিকূলতা মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় খুঁজতে আলোচনা হবে।
আগামী রোববার (১০ জুন) সকালে কুইবেকে সফরকালীন আবাসস্থলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
ওইদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী কুইবেক সিটি থেকে টরন্টোর পিয়ারসন বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হবেন। বিকেল ৪টার দিকে পিয়ারসন বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তিনি।
সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী টরন্টোতে সফরকালীন আবাসস্থল রিজ কার্লটনে যাবেন। স্থানীয় সময় ৬টায় মেট্রো টরন্টোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।
১১ জুন স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কানাডার মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত বব রে’র সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা বৈঠক করবেন সাসকাতচেওয়ান প্রদেশের ডেপুটি প্রিমিয়ার, বাণিজ্য ও রফতানি উন্নয়নমন্ত্রী গর্ডন ওয়ান্ট এবং অভিবাসন ও ক্যারিয়ার প্রশিক্ষণমন্ত্রী জেরেমি হ্যারিসনসহ শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী কানাডা কমার্শিয়াল করপোরেশনের (সিসিসি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্টিন জাবলকির সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
এসব কর্মসূচি শেষে সেদিন স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটার দিকে টরন্টোর পিয়ারসন বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। দুবাইয়ে যাত্রাবিরতি দিয়ে আগামী ১২ জুন রাত ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
সফরে সরকারপ্রধানের উল্লেখযোগ্য সঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সফিকুর রহমান।
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবে সফরে রয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৮
এমইউএম/আরআর