ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রত্যন্ত এলাকায় চিকিৎসায় ভূমিকা রাখছে কমিউনিটি ক্লিনিক

অপু দত্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৩ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
প্রত্যন্ত এলাকায় চিকিৎসায় ভূমিকা রাখছে কমিউনিটি ক্লিনিক কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিচ্ছেন এক নারী। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: এমনিতেই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি সমতলের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। সব মৌলিক অধিকার থেকে সুবিধা বঞ্চিত দূর পাহাড়ের মানুষগুলো। পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে একটি হলো চিকিৎসা সেবা। 

বিগত কয়েক বছর আগেও একটু অসুখে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে শহরে ছুটতে হতো স্থানীয়দের। তবে প্রত্যন্ত এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিক সুবিধকার কারণে বদলে যাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবার চিত্র।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো রাখছে অগ্রণী ভূমিকা।
 
খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত গ্রামে স্থানীয়দের স্বাস্থ্যসেবায় অনেকটাই দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে ক্লিনিকগুলো। খাগড়াছড়িতে এমন ১৩৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা পাচ্ছেন কয়েক লাখ মানুষ। তবে মাঝে মধ্যে মেডিক্যাল কর্মকর্তারা কমিউনিটি ক্লিনিকে সময় দিলে স্বাস্থ্যসেবা আরো একধাপ এগিয়ে যেতো বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
 
প্রত্যন্ত এলাকার মানুষগুলোকে সর্দি, কাশি, জ্বর হলেও ছুটে যেতে হতো শহরে। চিকিৎসাপত্র ও ওষুধের জন্য তাদের সময় ও অর্থ দুটোই নষ্ট হতো। কমিউনিটি ক্লিনিক সুবিধার কারণে বদলে গেছে স্বাস্থ্যসেবার চিত্র। প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহে এখন চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন অসহায় মানুষরাও। শুধু চিকিৎসা সেবা নয়, বিনামূল্যে ওষুধও পাওয়া যায় সেখানে। জেলা সদরের কমলছড়ি ইউনিয়নের বেতছড়িমুখ কমিউনিটি ক্লিনিক তেমনই একটি।
 
এখানে কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে আছেন একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার। তিনি মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসহ এলাকার সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। তার পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিবার কল্যাণ সহকারীরাও তাদের সহযোগিতা করেন। তবে গুরুতর রোগীদের সঙ্গে সঙ্গেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে থাকেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা। খাগড়াছড়িতে কমিউনিটি ক্লিনিক।  ছবি: বাংলানিউজ
 
কমলছড়ির বেতছড়ি গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য কেয়ার প্রোভাইডারই (সিএইচসিপি) চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনদিন একজন মেডিক্যাল কর্মকর্তা রোগী দেখলে ভালো হতো। গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা শতভাগই পূরণ হতো।
 
এখানকার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অন্তরা তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, আমরা ক্লিনিক থেকে কমপক্ষে ৩০ ধরনের রোগের ওষুধ দিয়ে থাকি।
 
স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে এমন ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। আরও সাতটি প্রক্রিয়াধীন। পুরো জেলাতে মোট ১৩৫টির মতো কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক সচল রয়েছে।
 
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উচ শৈ বাংলানিউজকে জানান, কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা প্রশিক্ষিত। রোগ সম্পর্কেও ভালো জানেন। তবে গুরুতর না হলে তারাই রোগ নিরুপণ করে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৩ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ