রোববার (৩ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের ম্যজিস্ট্রেট জিয়াদুল হকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেছেন আবারক।
** রাজনগরে নারীর মরদেহ উদ্ধার
রাশেদা সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়ন ইউনিয়নের ওয়াইয়া গ্রামের মৃত ফরাসত মিয়ার মেয়ে।
গত শুক্রবার (১ জুন) রাতে রাজনগর থানা পুলিশ দক্ষিণ খারপাড়া গ্রামে মাছুয়া নদী থেকে ভাসমান ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে রাশেদার ভাই আব্দুল খালিদ রাজনগর থানায় এসে তার বোনের পরিচয় শনাক্ত করেন ও একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাশেদার ভাইয়ের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার (২ জুন) রাতে মোবাইল ফোন ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ আবারককে কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার থেকে গ্রেফতার করে। এরপর রোববার আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আবারক।
জবানবন্দি থেকে জানা যায়, রাশেদা বেগমের সঙ্গে মোবাইল ফোনের সূত্রে পরিচয় ছিলো আবারক ও তার সেই বন্ধুর। এর সূত্র ধরে বেশ কয়েকবার তাদের দেখা-সাক্ষাতও হয়েছে। গত ৩০ মে তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মৌলভীবাজার আসেন রাশেদা বেগম। সেদিন সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের ওই যুবককে (আবারকের বন্ধু) নিয়ে রাজনগর উপজেলা পরিষদের সামনে আসেন রাশেদা। এসময় ওই যুবক আবারককে ফোন করে একই স্থানে নিয়ে আসেন। এরপর রাশেদাকে নিয়ে দু’জনে উপজেলা পরিষদের পার্শ্ববর্তী মাছুয়া নদীর ধার ঘেঁষে পশ্চিম দিকে যেতে থাকেন। এসময় দক্ষিণ খারপাড়া গ্রামের মোবারক মিয়ার বাড়ির পশ্চিম পাশে নদীর ধারে এসে ওই যুবক রাশেদাকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় উভয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে গলায় ওড়না পেঁছিয়ে রাশেদাকে হত্যা করেন আবারক ও তার সহযোগী। পরে মরদেহের সঙ্গে ইট বেঁধে নদীর অল্প পানিতেই ফেলে দেন দু’জনে।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বাংলানিউজকে বলেন, রাশেদার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার আবারককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অপরজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৪ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৮
জিপি