মঙ্গলবার (২৯ মে) পুলিশি নিরাপত্তায় মরদেহ তিনটি বাঘাইছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে সোমবার (২৮ মে) সকালে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম করল্যাছড়ি এলাকায় দুর্বত্তদের গুলিতে তিনজন নিহত হয়।
নিহতদের মধ্যে সঞ্জীব চাকমা প্রসীত খীসার ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উপজেলা সদস্য, অটল চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক উপজেলা সভাপতি এবং স্মৃতি চাকমা ইউপিডিএফ নেতা। এই ঘটনায় দু'জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তাদের উদ্ধার করা যায়নি।
সোমবার বিকেলে দুর্গম করল্যাছড়ি এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে বাঘাইহাট ক্যাম্পে রাখা হয়। পরে পরে সেখান থেকে মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়িতে নিয়ে আসা হয়।
এই ঘটনার জন্য সংগঠনটি জলেয়া চাকমার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ এবং জেএসএস সংস্কারপন্থীদের দায়ী করেছেন। তবে নিজেদের জড়িত থানার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সংগঠন দু'টি। এদিকে সাজেক থানার উপ পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত নিহতদের কোনো আত্মীয় স্বজনকে পাওয়া যায়নি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
চলতি মাসে এনিয়ে বড় ধরনের তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে গত ৪ মে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেএসএস সংস্কারগ্রুপের নেতা শক্তিমান চাকমাকে হত্যা করা হয়। একদিন পর ৫ মে শক্তিমানের দাহক্রিয়ায় যাওয়ার পথে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের শীর্ষনেতা তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সর্বশেষ গতকাল সাজেকে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এছাড়া গত ২১ মে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এক ইউপিডিএফ কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। তবে পুলিশ এর কোনো সত্যতা পাইনি। এনিয়ে গত ছয়মাসে মারা গেছেন ২১ জন নেতাকর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
এডি/এএটি