সরেজমিনে দেখা যায়, লিংক রোডের ভাঙা সড়কের শুরু হয়েছে চাষাঢ়া রাইফেলস ক্লাবের বিপরীত পাশ থেকে আর্মি মার্কেট পর্যন্ত। ওই সড়কের কোথাও কোথাও রয়েছে বড়-ছোট গর্ত।
সড়কের ভাঙা অংশের পাশেই প্রতিটি ঢাকামুখী গণপরিবহনের টিকিট কাউন্টার। বৃষ্টি হলে মানুষ কাউন্টারে বসে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকলেও বাড়ে ভোগান্তি। কাদা-পানিতে একেবারেই যাচ্ছেতাই অবস্থার সৃষ্টি হয়। তার উপর বাসগুলো ভাঙা সড়কের পাশে পার্কিং করে থাকে। ফলে যানজটও ধারণ করে প্রকট আকারে।
সড়কের একপাশে ড্রেনের কাজ চলায় এটির ফুটপাতে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলছে ঢিমেতালে। সড়কের ড্রেনের কাজের ময়লা-মালামাল সড়কের কিছু অংশে রাখা হয়েছে। ড্রেনের খোলা স্থানে ও ভাঙা বাঁশের মধ্যেও নিয়মিত দুর্ঘটনায় পড়ছেন পথচারীরা।
ওই সড়কে দুর্ঘটনার শিকার মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘দরোববার (২৭ মে) ‘ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি ট্রাকের সঙ্গে আমার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলের হেডলাইট ভেঙে যায়। অল্পের জন্য রক্ষা পাই আমি। এমন দুর্ঘটনা এখানে প্রায়শই ঘটে। বৃষ্টির মধ্যে তো অহরহ রিকশা উল্টে অনেকে এখানে পড়ে আহত হয়েছে।
ট্রাফিক ও বিভিন্ন চালক সূত্রে জানা যায়, ওই সড়কে বাসগুলো পার্কিং ও ব্যাপকভাবে ভাঙা থাকায় এখানে যানবাহনগুলো চলাচল করেছে ধীরগতিতে। দুর্ঘটনা এড়াতেই সাবধানে এসব গাড়ি চলাচল করে তাই লেগেই থাকে যানজট। যানজট লিংক রোডের দুই থেকে পাঁচ মিনিটের সড়কে সময় নেয় ১৫ থেকে ৩০ মিনিট। কখনো কখনো যানজট এতো তীব্র আকার ধারণ করে অনেক দূর ছড়িয়ে পড়ে। তখন যানজটের প্রভাব পড়ে শহরের প্রধান প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়াতেও। এই চাষাঢ়ার যানজট শহরের প্রেসক্লাব, কলেজরোড, দুই নম্বর রেলগেট, পঞ্চবটী পর্যন্তও ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে শহরের অলিগলির সড়কগুলোতেও।
স্থানীয় ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু বাংলানিউজকে জানান, ওই সড়কে যানজটে জনদুর্ভোগ তো হয়। কিন্তু সড়কটি নির্মাণ করবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এখানে সিটি করপোরেশনের কিছু করার নেই। তারপরও জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা সড়কের দু’পাশে সিটি করপোরেশনের ড্রেন নির্মাণ করে দিচ্ছি।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আব্দুর রশিদ জানান, যানজট ও ভাঙা সড়কের বেহাল দশায় ভোগান্তিও অনেক হয় এটা সত্যি। এই সড়কের ব্যাপারে সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের আলোচনা হয়েছে।
আমরা ছবি তুলে ও ভিডিও করে এই চিত্র তুলে ধরেছিলাম, মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সড়কের পাশে নাসিকের ড্রেনের কাজ চলছে সেটি সমাপ্ত হলে দ্রুতই পরবর্তী কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, শুধুমাত্র নাসিকের ড্রেনের কাজ যেখানে চলছে সেখানে আমাদের সড়কের কাজ বিলম্ব হচ্ছে। নাসিকের ড্রেনের কাজের সব মালামাল সড়কের কিছু অংশে রাখা আছে। তাদের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কিছুই করার নেই। তবুও ভাঙা অংশটুকু ভরাট করে আমরা সড়কে যেন যান চলাচল স্বাভাবিক থাকে সে ব্যবস্থা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
এএটি